পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SO वैकखि কেন বলে তা ? ক্ষিদেয় মারি বাবু, মুড়ি টুড়ি দুটাে কিনে খাবো। জিজ্ঞাসা করিলাম, তুমি রোগী মানুষ, যা-তা খাওয়া তোমার বারণী नम्र ? अद्धि, न । এখানে তোমাকে খেতে দেয় না ? লোকটি কহিল যে, সকালে একবারটি সাগু দিয়াছিল তাহা সেঃ কোনকালে খাইয়া ফেলিয়াছে। তখন হইতে সে গেটের কাছে বসিয়া থাকে, ভিক্ষা পায় তা আর একবাব খাওয়া চলে, না হয় ত উপবাসে কাটে। ডাক্তার একজন আছেন, বোধ হয় যৎসামান্য হাত-খরচা মাত্র বন্দোবস্ত আছে, সকাল-বেলায় একবার করিয়া তাহার দেখা পাওয়া যায়। আর একটি লোক নিযুক্ত আছে, তাহাকে কম্পাউণ্ডারি হইতে শুরু করিয়া লণ্ঠনে তেল দেওয়া পর্যন্ত সমস্তই করিতে হয়। পূবেবর্ণি একজন চাকর ছিল বটে, কিন্তু মাস-ছায়েক হইল মাহিনা না পাওয়ায় রাগ করিয়া চলিয়া গিয়াছে, এখনও নূতন কেহ ভৰ্ত্তি হয় নাই। জিজ্ঞাসা কবিলাম, বঁট-পাট কে দেয় ? লোকটি বলিল, আজকাল আমিই দিই। আমি চলে গেলে আবার যে নতুন রোগী আসবে সেই দেবে। কহিলাম, বেশ ব্যবস্থা । হাসপাতালটি কাহার জান ? লোকটি আমাকে ও-দিকের বারান্দায় লইয়া গেল। কড়ি হইতে একটি টিনের লণ্ঠন বুলিতেছে। কম্পাউণ্ডারবাবু বেলাবেলি সেটী জ্বালিয়া দিয়া কাজ সারিয়া ঘরে চলিয়া গিয়াছেন । দেওয়ালের গায়ে আঁাটা মস্ত একটা মন্মর-প্ৰস্তর-ফলক । সোনার জল দিয়া ইংরাজী-অক্ষরে আগাগোড়া খোদাই-করা সন-তারিখ-সম্বলিত শিলালিপি। জেলার যে সাহেব ম্যাজিষ্ট্রেট অপরিসীম দয়ায় ইহার উদ্বোধনকাৰ্য্য সম্পন্ন করিয়াছিলেন তাহার নামধাম সর্বাগ্রে, নীচে প্ৰশস্তিপাঠ ৷ কি একজন রায়বাহাদুর তাহার রত্নাগভর্ণ মাতার স্মৃতিরক্ষার্থে জননী-জন্মভূমিতে এই হাসপাতাল প্ৰতিষ্ঠা করিয়াছেন। আর শুধুমাতা-পুত্ৰই নয়, উৰ্দ্ধতন তিন-চারি পুরুষের