পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

St শ্ৰীকান্ত গহর বুঝিল, আমি বিশেষ ভরসা পাই নাই, কহিল, তুই ত থাকবি খাটে, তোর ভয়টা কিসের ? তা ছাড়া ওঁরা থাকেন না। আর কোথায় ? কপালে লেখা থাকলে রাজা পরীক্ষিৎও নিস্তার পান না—আমরা ত তুচ্ছ।-নবীন, ঘরটা ঝাঁট দিয়ে খালের মুখে একটা ইট চাপা দিয়ে দিস। ভুলিস নে ; কিন্তু কি খাবি বলত শ্ৰীকান্ত ? বলিলাম, যা জোটে । নবীন কহিল, দুধ মুড়ি আর ভালো আকের গুড় আছে। আজকের মতো জোগাড়। বলিলাম, খুব খুব, এ বাড়ীতে ও জিনিসের আমার অভ্যাস আছে। আর কিছু জোগাড়ের দরকার নেই বাবা, তুমি বরঞ্চ আস্তো দেখে একখানা ইট জোগাড় করে আনে। গৰ্ত্তটা একটু মজবুত ক’রে চাপা দাও-দখিনে বাতাসে ভরপুর হয়ে ওঁরা যখন ঘরে ফিরবেন তখন হঠাৎ না। ঢুকে পড়তে পারেন। নবীন আলো দিয়া চৌকির তলায় কিছুক্ষণ উকিঝুকি মারিয়া, दक्लिव्न, नां६-श्व न । कि शहद मा 6श् ? সে মাথা নাড়িয়া বলিল, না, হবে না। খালের মুখ কি একটা বাবু? এক পাজ ইট চাই যে। ইদুরে মেঝেটিা একেবারে বঁাঝরা করে দেখেচে । গহর বিশেষ বিচলিত হইল না, শুধু লোক লাগাইয়া কাল নিশ্চয় ঠিক করিয়া ফেলিতে হুকুম করিয়া দিল। নবীন হাত-পা ধুইবার জল দিয়া ফলারের আয়োজনে ভিতরে চলিয়া গেলে জিজ্ঞাসা করিলাম, তুমি কি খাবে গহর ? আমি ? আমার এক বুড়ো মাসী আছেন, তিনি রান্না করেন। সে যাক, খাওয়াদাওয়া চুকলে লেখাগুলো তোরে পড়ে শোনাবো। সে আপন কাব্যের অনুধ্যানেই মগ্ন ছিল, অতিথির সুখ-সুবিধার