RR আমার যাবার দিনে গহর পুনরায় আমার ব্যাগ ঘাড়ে করিয়া প্ৰস্তুত হইল। প্ৰয়োজন ছিল না, নবীন ত লজায় প্ৰায় আধমবা হইয়া উঠিল, কিন্তু সে কানও দিল না। ট্রেনে তুলিয়া দিয়া সে মেয়েমানুষের মত কঁাদিয়া ফেলিল, বলিল, আমার মাথার দিব্যি রইল শ্ৰীকান্ত, চলে যাবার আগে আবার একদিন এসো, যেন আর একবার দেখা হয় । আবেদন উপেক্ষা কবিতে পাবিলাম না, কথা দিলাম দেখা কবিতে আবার আসিব । কলকাতায় পৌছে কুশল সংবাদ দেবে বলে ? এ প্ৰতিশ্রুতিও দিলাম। যেন কতদূবেই না চলিয়াছি। কলিকাতার বাসায় গিয়া যখন পৌছিলাম। তখন প্ৰায় সন্ধ্যা । চৌকাঠে পা দিয়াই যাহাব সহিত সাক্ষাৎ ঘটিল। সে আব কেহ নহে, 夺积不5F{目 এ কি রে, তুই যে ? হঁ্যা, আমিই। কাল থেকে বসে আছি-একখানা চিঠি আছে। বুঝিলাম সেই প্রার্থনাব উত্তব। কহিলাম, চিঠি ডাকে দিলেও ত আসতো ? রতন বলিল, সে ব্যবস্থা চাষাভুষো মুটেমজুব গেবস্ত লোকদেব জন্যে। মা'র চিঠি একটা লোক না খেয়ে না ঘুমিয়ে পাঁচশো মাইল ছুটে হাতে ক’রে না আনলে খোয়া যায়। জানেন ত সব, কেন মিছে জিজ্ঞাসা করচেন । পরে শুনিয়াছিলাম রতনের এ অভিযোগ মিথ্যা । কাবণ সে নিজেই উদ্যোগী হইয়া এ চিঠি হাতে করিয়া আনিয়াছে। এখন মনে হইল গাড়ীর ভিড়ে ও আহারাদির অব্যবস্থায় তাহার মেজাজ বিগড়াইয়াছে। হাসিয়া কহিলাম, ওপরে আয়। চিঠি পরে হবে, চল তোর খাবার জোগাড়টা আগে করে দিই গো ! রতন পায়ের ধূলা লইয়া প্ৰণাম করিয়া বলিল, চলুন।
পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৩৬
অবয়ব