পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-बस्छि Rotte শৈশবে তোমাকে বরণ করেছিলুম। সে তোমার মনে নেই। কঁাটায় হাত বয়ে রক্ত ঝরে পড়তে, রাঙামালার সে রাঙা-রং তুমি চিনতে পারো নি। বালিকার পূজার অর্ঘ্য সেদিন তোমার গলায়, তোমার বুকের পরে রক্তরেখায় যে লেখা একৈ দিত। সে তোমার চোখে পড়ে নি, কিন্তু র্যার চোখে সংসারের কিছুই বাদ পড়ে না, আমার সে নিবেদন তঁর পাদপদ্মে গিয়ে পৌছেছিল। তারপর এলো দুৰ্য্যোগের রাত, কালো মেঘে দিলে আমার আকাশের জ্যোৎস্না ঢেকে ; কিন্তু সে সত্যিই আমি না। আর কেউ, এ জীবনে যথার্থই ওসব ঘটেছিল, না ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখোঁচি ভাবতে গিয়ে অনেক সময়ে ভয় হয় বুঝিবা আমি পাগল হয়ে যাবো। তখন সমস্ত ভুলে যাকে ধ্যান করতে বসি ষ্ঠার নাম বলা চলে না। কাউকে বলতে নেই। তঁর ক্ষমাই আমার জগদীশ্বরের ক্ষমা। এতে ভুল নেই, সন্দেহ নেই, এখানে अभि निर्डश। হাঁ, বলছিলুম, তারপর এলো আমার দুর্দিনের রাত্রি, কলঙ্কে দিল দুচোখের সকল আলো নিবিয়ে ; কিন্তু সেই কি মানুষের সমস্ত পরিচয় ? সেই অখণ্ড গ্লানির নিরবকাশ আবরণের বাইবে তার কি আর কিছুই বাকি নেই ? আছে । অব্যাহত অপরাধের মাঝে মাঝে তাকে আমি বার বার দেখতে পেয়েচি । তাই যদি না হ’তো, বিগত দিনের রাক্ষসটা যদি আমার অনাগতার সমস্ত মঙ্গলকে নিঃশব্দে গিলে খেতে, তবে তোমাকে ফিরে পেতুম কি ক’রে ? আমার হাতে এনে আবার তোমাকে দিয়ে যেতো কে ? আমার চেয়ে তুমি চার-পাঁচ বছরের বড়, তবু তোমাকে যা মানায় আমাকে তা সাজে না। বাঙালী-ঘরের মেয়ে আমি, , জীবনের সাতাশটা বছর পার করে দিয়ে আজ যৌবনের দাবী আর করি নে। আমাকে তুমি ভুল বুঝে না-যত অধমই হই,