পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

iqtVg WCD ফন্দি যদি ক’রে থাকে, সেই বুদ্ধি ত্যাগ কবো। তুমি দিলে বিষ আমি নেবো, কিন্তু ও নিতে পাববো না । আমাকে জানো বলেই জানিয়ে দিলুম যে সূৰ্য অস্ত যাবে, তাব পুনকদয়েব অপেক্ষাব্য বসে থাকাব আমাব আব্ব সময় হবে না । ইতি বাজলক্ষ্মী বঁচা গেল। সুনিশ্চিত কঠোব অন্যশাসনেব চবম লিপি পাঠাইয়া একটা দিকে সে আমাকে একেবাবে নিশ্চিন্ত ক<িয়া দিল । এ জীবনে ও ব্যাপাব লইয়া ভাবিবাব আব্ব কিছু বাঙ্গল না , কিন্তু কি কবিতে পাবিব না। তাহাই নিঃসংশযে জানিলাম, কিন্তু অতঃপব কি আমাকে কবিতে হইবে এ সম্বন্ধে বাজলক্ষ্মী একেবাবে নির্বাক । হয়ত উপদেশ দিয়া আর একদিন চিঠি লিখিবে, কিংবা আমাকেই সশরীরে তলব কবিয়া পাঠাইবে, কিন্তু আপাততঃ ব্যবস্থা যাহা হইল। তাহা অত্যন্ত চমৎকাব্য। এদিকে ঠাকুর্দা মহাশয় সম্ভবতঃ কাল সকালেই আসিয়া উপস্থিত হইবেন, ভরসা দিয়া আসিয়াছি চিন্তাব হেতু নাই, অনুমতি পাওয়ায় বিন্ন ঘটবে না , কিন্তু আসিয়া যাহা পৌঁছিল তাহ নির্বিবক্সে অনুমতিই বটে। বর্তন নাপিতেব হাতে সে যে চেলি এবং টোপর পাঠায় নাই এই ঢ়েব। ও-পক্ষে দেশের বাটীতে বিবাহের আয়োজন নিশ্চয়ই অগ্রসর হইতেছে। পুটুব আত্মীয়-স্বজনও কেহ কেহ হয়ত আসিয়া হাজির হইতেছে, এবং প্ৰাপ্তবয়স্ক অপরাধী মেয়েটা হয়ত এতদিনে লাঞ্ছনা ও গঞ্জনার পরিবর্তে একটুখানি সমাদরের মুখ দেখিতে পাইয়াছে। ঠাকুর্দাকে কি বলিব জানি, কিন্তু কেমন করিয়া সেই কথাটা বলিব ইহাই ভাবিয়া পাইলাম না। তাহার। নিৰ্ম্মম তাগাদা ও লজাহীন যুক্তি ও ওকালতি মনে মনে আলোচনা করিয়া ফ্ৰান্তরটা একদিকে যেমন ভিক্ত হইয়া উঠিল, তাহার ব্যর্থ প্ৰত্যাবর্তনে নিরাশায় ক্ষিপ্ত