পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांक्ट গহরগোঁসাই হয়েছে, তখন আমি ত অন্ততঃ বামুনের ছেলে ; কিন্তু আমার নিজের নামটা কি দোষ করলে ? তার সঙ্গেই একটা গোঁসাই জুড়ে দাও না। কমললতা মুখ টিপিয়া হাসিয়া বলিল, সে হয় না ঠাকুর, হয় না । ও-নামটা আমার ধরতে নেই-অপরাধ হয়, এসে । তা যাচ্ছি, কিন্তু অপরাধটা কিসের কিসের তা তোমার শুনে কি হবে ? আচ্ছা মানুষ ত ! যে-বৈষ্ণবীটি মালা গাঁথিতেছিল। সে ফিক কবিয়া হাসিয়া ফলিয়াই মুখ নীচু কবিল। ঠাকুরঘবে কালো-পাথব ও পিতলের বাধাকৃষ্ণ যুগলমূৰ্ত্তি। একটি নয়, অনেকগুলি। এখানেও জন পাঁচ-ছয় বৈষ্ণবী-কাজে নিযুক্ত। আবাতিব সময় হইয়া আসিতেছে, নিঃশ্বাস ফেলিবাব অবকাশ নাই । ভক্তিভাবে যথাবীতি প্ৰণাম কবিয়া বাহিব হইয়া আসিলাম । ঠাকুরঘবটি ছাড়া অন্য সব ঘরগুলিই মাটিব। কিন্তু সযত্ন-পরিচ্ছন্নতার সীমা নাই । বিনা অসনে কোথাও বসিতেই সঙ্কোচ হয় না, তথাপি কমললতা পূবেব বাবান্দার একধাবে আসন পাতিয়া দিল, কহিল, বস, তোমার থাকবাব ঘবটা একটু গুছিয়ে দিয়ে আসি। আমাকে আজ এখানেই থাকতে হবে নাকি ? কেন, ভয় কি ? আমি থাকতে তোমার কষ্ট হবে না । বলিলাম, কষ্টেব্য জন্য নয়, কিন্তু গহর রাগ করবে। যে । বৈষ্ণবী কহিল, সে ভার আমার। আমি ধবে বাখলে তোমার বন্ধু একটুও রাগ করবে না, এই বলিয়া সে হাসিয়া চলিয়া গেল । একাকী বসিয়া অন্যান্য বৈষ্ণবীদের কাজ দেখিতে লাগিলাম । বাস্তবিকই তাহদের সময় নষ্ট করিবার সময় নাই, আমার দিকে কেহ ফিরিয়াও চাহিল না। মিনিট-দশেক পরে কমললতা যখন