পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকান্ত মরে না গোঁসাই। আমাদের বড়গোঁসাই বলে, ও যেন তুষের আগুন, নিবেও নিবে না। ছাই সরালেই চোখে পড়ে ধিকিধিকি জ্বলিচে ; কিন্তু তাই বলে ফু দিয়ে তা বাড়াতে পারব না। আমার এ পথে আসাই যে তাহলে মিথ্যে হয়ে যাবে। শোন ; কিন্তু মেয়েমানুষ ত - হয়ত সব কথা খুলে বলতেও পারবো না। আমার কুষ্ঠার অবধি রহিল না। শেষবারের মত মিনতি করিয়া বলিলাম, মেয়েদের পদস্থলনের বিবরণে আমার আগ্রহ নেই, ঔৎসুক্য নেই, ও শুনতে আমার কোনদিন ভালো লাগে না, কমললতা ! তোমাদের বৈষ্ণব-সাধনায় অহঙ্কার বিনাশের কোন পন্থা মহাজনেরা নির্দেশ করে দিয়েছিলেন। আমি জানি নে, কিন্তু নিজের গোপন পাপ অনাবৃত করার স্পদ্ধিত বিনয়ই যদি তোমাদের প্ৰায়শ্চিত্তের বিধান হয়, এসব কাহিনী যাদের কাছে অত্যন্ত রুচিকর এমন বহুলোকের সাক্ষাৎ তুমি পাবে কমললতা, আমাকে ক্ষমা কর । এ’ছীড়া খোধ হয় কালই আমি চলে যাৰো-জীবনে হয়ত DD BDD KLYYEES DB D বৈষ্ণবী কহিল, তোমাকে ত আগেই বলেছি গোঁসাই, প্ৰয়োজন তোমার নয়, আমার ; কিন্তু কালকের পর আর আমাদের দেখা হবে না, এই কি তুমি সত্যিই বলতে চাও ? না, কখনো তা নয়, আমার মন বলে আবার দেখা হবে-আমি সেই আশা নিয়েই থাকবো ; কিন্তু যথার্থ-ই কি আমার সম্বন্ধে তোমার কোন কথা জানতে ইচ্ছে করে না ? চিরকাল শুধু একটা সন্দেহ আর অনুমান নিয়েই থাকবে ? p প্রশ্ন করলাম, আজ বনের , মধ্যে যে-লোকটার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল, যাকে তুমি আশ্রমে ঢুকতে দাও না, যার দৌরাত্ম্যে তুমি পালাতে চাচ্চো, সে কি তোমার সত্যিই কেউ নয় ? নিছক পর ? কিসের ভয়ে পালচ্চি তুমি বুঝেছো গোঁসাই ? ই, এই তা মনে হয় । কিন্তু কে ও ? V