পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छैकात्छ re কে ও ? ও আমার ইহ-পরকালের নরক যন্ত্রণা। তাইত অহরহ ঠাকুরকে কেঁদে বলি, প্ৰভু, আমি তোমার দাসী-মানুষের ওপর থেকে এত বড় ঘূণা আমার মন থেকে মুছে দাও—আমি আবাব সহজ নিঃশ্বাস ফেলে। বঁচি । তাহার চােখের দৃষ্টিতে যেন আত্মগ্লানি ফুটিয়া উঠিল, আমি চুপ কবিয়া বহিলাম। বৈষ্ণবী কহিল, অথচ ওর চেয়ে আপন একদিন আমার কেউ ছিল না-জগতে অত ভাল বোধ করি কেউ কাউকে বাসে নি। তাহাব কথা শুনিয়া বিস্ময়ের সীমা রহিল না, এবং এই সুরূপ। রমণীর তুলনায় সেই ভালবাসার পাত্রটির কুৎসিত কদাকার মূৰ্ত্তি স্মরণ করিয়া মনও ভারী ছোট হইয়া গেল। বুদ্ধিমতী বৈষ্ণবী আমার মুখের প্রতি চাহিয়া তাহা বুঝিল, কহিল, গোঁসাই, এত শুধু ওর বাইবেটা-ওর ভেতরের পরিচয়টা Casis दळणी ! বৈষ্ণবী বলিতে লাগিল, আমার আরও দুটি ছোট ভাই আছে, কিন্তু বাপ-মায়ের আমি একমাত্র মেয়ে। বাড়ী আমাদের শ্ৰীহট্টে, কিন্তু বাবা কারবারি লোক, তার ব্যবসা কলকাতায় বলে ছেলেবেলা থেকে আমি কলকাতায় মানুষ। মা সংসার নিয়ে দেশেব বাড়ীতেই থাকেন, আমি পুজোর সময় যদি কখনাে দেশেও যৌতুম, মাসখানেকের বেশী থাকতে পারতুম না। আমার ভালও* লগত না । কলকাতাতুেই আমার বিয়ে হয়, সতেরো বছর বয়সে কলকাতাতেই আমি তাকে হারাই, তার নামের জন্যেই গোঁসাই, তোমার নামটা গহরগোঁসাইয়ের মুখে শুনে আমি চমকে উঠি । এইজন্যই নতুনগোঁসাই বলে ডাকি, নামটা তোমার মুখে আনতে Pif G. বলিলাম, সে আমি বুঝেচি, তারপর ?