পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tt &TV কমললতা তাহার প্রতি সস্নেহে চাহিয়া সহস্তে কহিল-দূর হ পোড়ারমুখী-চুপ কর। রাজলক্ষ্মীকে কহিল, নিয়ে যাও ত ভাই ওকে, কি জানি হঠাৎ কি একটা ব’লে বসবে। ঠাকুরের সন্ধ্যারতির পরে কীৰ্ত্তনের আসর বসিল। আজ আলো জ্বলিল অনেকগুলো। মুরারিপুর আখড়া বৈষ্ণব-সমাজে নিতান্ত আখ্যাত নয়, নানাস্থান হইতে কীৰ্ত্তনীয়া বৈরাগীর দল আসিয়া জুটিলে এরূপ আয়োজন প্রায়ই হয়। মঠে সর্বপ্রকার বাদ্যযন্ত্র মজুত আছে, দেখিলাম সেগুলো হাজির করা হইয়াছে। একদিকে বসিয়া বৈষ্ণবীগণ-সকলেই পরিচিত, অন্যদিকে উপবিষ্ট অজ্ঞাতকুলশীল অনেকগুলি বৈরাগী-মূৰ্ত্তি—নানা বয়স ও নানা চেহারার। মাঝখানে সমাসীন বিখ্যাত মনোহরদাস ও তাহার মৃদঙ্গবাদক। আমার ঘরের অধুনা দখলিকার একজন ছোকরা বাবাজী দিতেছে হারমোনিয়ামে সুর। এটা প্রচার হইয়াছে যে, কে একজন সন্ত্রান্ত গৃহের মহিলা আসিয়াছেন কলিকাতা হইতে —তিনি গাহিবেন গান। তিনি যুবতী, তিনি রূপসী, তিনি বিত্তশালিনী।. তাহার সঙ্গে আসিয়াছে দাস-দাসী, আসিয়াছে বহুবিধা খাদ্যসম্ভার, আর আসিয়াছে কে-এক নতুনগোঁসাই-সে নাকি এই দেশেরই একজন ভবঘুরে । মনোহরদাসের কীৰ্ত্তনের ভূমিকা ও গৌরচন্দ্ৰিকার মাঝামাঝি এক সময়ে রাজলক্ষ্মী আসিয়া কমললতার কাছে বসিল । হঠাৎ, বাবাজীমশায়ের গলাটা একটু কঁপিয়াই সামলাইয়া গেল, এবং মৃদঙ্গর বোলটা যে কাটিল না সে নিতান্তই একটা দৈবাতের লীলা ! শুধু দ্বারিকান্দাস দেয়ালে ঠেস দিয়া যেমন চোখ বুজিয়া ছিলেন তেমনি রহিলেন, কি জানি, হয়ত জানিতেই পারিলেন না কে अग्निव् उद्भ 6 ख्ञव्ताि न ।