পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

❖d ዓ ε την ভঙ্গীর মধুরতায় এই সন্ধ্যায় সে যে বিস্ময়ের সৃষ্টি করিল। তাহা অভাবিত। পাথরের ঠাকুর তাদের সম্মুখে, পিছনে বসিয়া ঠাকুর দুৰ্ব্বাস-কাহাকে প্ৰসন্ন করিতে যে তাহার এই আরাধনা, বলা কঠিন। গঙ্গামাটির অপরাধের এতটুকু স্বালনও যদি ইহাতে হয় কি জানি এ কথা তাহার মনের মধ্যে আজ ছিল। কিনা ! 6न 2ाष्ट्रिgङछिब्ल এক পদ-পঙ্কজ, পঙ্কে বিভূষিত, কণ্টকে জরা-জার ভেল, তুয়া দরশন-আশে কিছু নাহি জানলু চিরদুখ আবদূরে গেল। তোহারি মুরলী যব শ্ৰবণে প্ৰবেশল। ছোড়ানু গৃহ-সুখ আশ, পস্থক দুখ তৃণহু করি না গণনু, কাহর্তহি গোবিন্দদাস ৷ বড়গোসাইজীর চোখে ধারা বহিতেছিল, তিনি আবেগ ও আনন্দের প্রেরণায় উঠিয়া দাড়াইয়া বিগ্রহের কণ্ঠ হইতে মল্লিকার মালা তুলিয়া লইয়া রাজলক্ষ্মীর গলায় পরাইয়া দিলেন, বলিলেন, প্রার্থনা করি তোমার সমস্ত অকল্যাণ যেন দূর হয় ভাই। রাজলক্ষ্মী হেঁট হইয় তাহাকে নমস্কার করিল, তারপরে উঠিয়া আমার কাছে আসিয়া পায়ের ধূলা সকলের সম্মুখে মাথায় লইল, চুপি চুপি বলিল, এ মালা তোলা রইলো, বখশিসের ভয় না দেখালে এখানেই তোমার গলায় পরিয়ে দিতুম ||-বলিয়াই চলিয়া গেল। গানের আসর শেষ হইল। মনে হইল জীবনটা যেন আজ সার্থক হইল । ক্ৰমশঃ প্ৰসাদ বিতরণের আয়োজন আরম্ভ হইল। তাহাকে অন্ধকারে একটু আড়ালে ডাকিয়া আনিয়া বলিলাম, ও মালা রেখে দাও, এখানে নয়, বাড়ী ফিরে গিয়ে তোমার হাত থেকে পরবো । রাজলক্ষ্মী বলিল, এখানে ঠাকুরবাড়ীতে পরে ফেললে আর খুলতে পারবে না-এই বুঝি ভয় ?