পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

aytw Strar সেবাই যেন আমার সবচেয়ে বড় কাজ ; কিন্তু তোমাকে আমার কথা ভাবতে আমি একটুও দেবো না। সংসারে তোমার অনেক কাজ-এখন থেকে তাই করতে হবে। হতভাগীর জন্যে তোমার অনেক সময় এবং আরও অনেক কিছু গোল—আর নষ্ট করতে আমি (10 नीं । বলিলাম, এইজন্যেই তা আমি যত শীঘ্ৰ পারি সেই সাবেক চাকরীতে গিয়ে ভৰ্ত্তি হ’তে চাই। রাজলক্ষ্মী বলিল, চাকরী কবতে তোমাকে ত দিতে পাববো না । কিন্তু মনোহারী দোকান চালাতেও তা আমি পেবে উঠবে না। কেন পেরে উঠবে না ? প্ৰথম কারণ, জিনিষের দাম আমার মনে থাকে না, দ্বিতীয় কারণ, দাম নেওয়া এবং দ্রুত হিসেব ক’রে বাকি ফিরিয়ে দেওয়া সে আরও অসম্ভব। দোকান ত উঠবেই, খদেবের সঙ্গে লাঠালাঠি না। বাধলে বাচি । তবে একটা কাপড়ের দোকান করে । তার চেয়ে একটা জ্যান্ত-ভালুকের দোকান ক’রে দাও, সে বরঞ্চ চালানো সহজ হবে । রাজলক্ষ্মী হাসিয়া ফেলিল, বলিল, একমনে এত আরাধনা ক’রে কি শেষে ভগবান এমনি একটা অকৰ্ম্ম মানুষ আমাকে দিলেন যাকে নিয়ে সংসারে এতটুকু কাজ চলে না ! বলিলাম, আরাধনায় ক্রটি ছিল। সংশোধনের সময় আছে, এখনো কৰ্ম্মঠ লোক তোমার মিলতে পারে। বেশ সুপুষ্ট নীরোগ বেঁটে-খাটো জোয়ান, যাকে কেউ হারাতে, কেউ ঠকাতে পারবে না, যাকে কাজের ভার দিয়ে নিশ্চিন্ত, হাতে টাকাকড়ি দিয়ে নিৰ্ভয়, যাকে খবরদারি করতে হবে না, ভীড়ের মধ্যে যাকে হারিয়ে ফেলবার উৎকণ্ঠ নেই, যাকে সাজিয়ে তৃপ্তি, খাইয়ে আনন্দ-ই্যা’ ছাড়া যে *ন’ ৰ’লতে জানে না