পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

〔5博 সমস্ত পথ চোখ যাহাকে অন্ধকারেও খুজিতেছিল, তাহার দেখা পাইলাম রেলওয়ে ষ্টেশনে। লোকের ভীড় হইতে দূরে দাড়াইয়া আছে, আমাকে দেখিয়া কাছে আসিয়া বলিল, একখানি টিকিট কিনে দিতে হবে গোসাঁই সত্যিই তবে সকলকে ছেড়ে চললে ? এ ছাড়া ত আর উপায় নেই। কষ্ট হয় না, কমললতা ? এ কথা কেন জিজ্ঞাসা কবো গোঁসাই, জানো ত সব। কোথায় যাবে ? যাবো বৃন্দাবনে ; কিন্তু অতো দূরের টিকিট চাই নে—তুমি কাছাকাছি কোন-একটা জায়গার কিনে দাও। অর্থাৎ আমার ঋণ যত কম হয়। তারপর সুরু হবে পরের কাছে ভিক্ষে, যতদিন না পথ শেষ হয়। এই তা ? ভিক্ষে কি এই প্ৰথম সুরু হবে, গোঁসাই ? আর কি কখনো করি। নি ? চুপ করিয়া রহিলাম। সে আমার পানে চাহিয়া চোখ ফিরাইয়া লইল, কহিল, দাও বৃন্দাবনেরই টিকিট কিনে। তবে চলো একসঙ্গে যাই ? তোমার কি ঐ এক পথ নাকি ? বলিলাম, না এক নয়, তবু যতটুকু এক ক’রে নিতে পারি। গাড়ী আসিলে দুজনে উঠিয়া বসিলাম। পাশের বেঞ্চে নিজের, झूठ (डांक्षांद्र विछीनां कब्र विगांभ। কমললতা ব্যস্ত হইয়া উঠিল-ও কি কারচো গোঁসাই ? কারুচি যা কখনো কারো জন্তে করে নিী-চিরদিন মনে থাকবে।” বলে ।