পাতা:শ্রীকালাচাঁদ-গীতা.pdf/২৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3. { 히 ] আর কিছু স্থদয়ে ধরিতে পারে না। শ্ৰীভগবানকে যত বড় প্রকাণ্ডই কর,—তাহার শত সহস্র হস্ত দাও, কোট কোট চক্ষু দাও, তবু মনুষ্যে ভগবান গড়িতে গেলে, তিনি প্রকৃত পক্ষে যে, হইবেন। পূৰ্ব্বে বলি, য়াছি, ভগবান হইতেছেন,মন্নুষ্য এবং আর কিছু। এখন দেখিতেছি, মনুষ্য, ম্যু প্রকৃতি ব্যতীত আর কিছু হৃদয়ে ধারণ করিতে পারেন। সুতরাং শ্ৰীভগবানকে হৃদয়ে স্থান দিতে ছুইলে, সে “কিছু” টুকু বাদ দিতে হইবে। তাই গ্রন্থকার বলিতেছেন যে, যিনি আমাদের ভজনীয় হন, তিনি ঠিক মনুষ্যের মত। এই তত্ত্বের একটী উদাহরণ গ্রন্থকার দিতেছেন। স্বৰ্য্য হইতে আমরা আলো ও উত্তাপ পাই। কিন্তু এই স্থৰ্য্যের উপর আর একটি বড় স্বৰ্য্য আছেন, তাহ আমরা চক্ষেও দেখিতে পাই না । অতএব আলো ও উত্তাপের নিমিত্ত আমাদের সুর্য্যকে উপেক্ষা করিয়া সুৰ্য্যের যে স্থৰ্য্য তাহার কাছে যাওয়া বিড়ম্বন মাত্র। ১৫-২৬৩ পুরুষ প্রকৃতি ইত্যাদি। সাধু দেখিতেছেন যে, জগৎ পুরুষ-প্রকৃতি জড়িত। তাহাতে সিদ্ধান্ত করিতেছেন যে, শ্ৰীভগবান পুরুষ-প্রকৃতি-রূপে বিরাজ করিতেছেন। যেহেতু এই জগৎ তাহার প্রকাশ। ১৫—২৮১ অস্তরে বিশ্বাস ইত্যাদি। ইহা কখন বিশ্বাস হয় না, যে, সৰ্ব্বশক্তিসম্পন্ন শ্রীভগবান সাধ দিয়াছেন, আর সাধ পুরণের বস্তু দেন নাই। শ্ৰীভগবান জীবকে বঁচিবার নিমিত্ত প্রগাঢ় সাধ দিয়াছেন, অথচ মরণ