পাতা:শ্রীকৃষ্ণভাবনামৃতম্‌.pdf/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবিলম্বমতঃ সখে ব্ৰজন বিপিনাঞ্চবাভিমুখীবিধেহি গাঃ । তনবাম নিযুদ্ধ কৌতুকং হরিণাদ্য ক্ষিতিভূক্তটাজিরে ॥২৬ বট পটলৈ শুভাশিষাং পৃষতৈঃ শাস্তি ঋচাভিমন্ত্ৰিতৈ: | অভিষিঞ্চত দর্ভপাণয়ো হরিমগ্রেহভজতাশু নিবৃতং ॥২৭ মুকুন্দোবনমেতীতি শব্দস্য কাব্যপ্রকাশধতগতোই স্তুমৰ্ক ইতি শব্দস্যেবাধিকারিভেদেন বিবিধ ধ্বন্তর্থমাহ। . তত্রাদে সখীনামভিপ্ৰেতং তাদৃশ শব্দস্ত ধ্বন্যর্থ মাহ । অবিলম্বমিতি । হে সথে ! অবিলম্বং ব্ৰজন সন ত্বং বিপিনাভিমুখী গ বিধেহি কুরু। হে সখে! অদ্য হরিণ সং গোবৰ্দ্ধনতটাঙ্গিরে নিযুদ্ধকৌতুকং বয়ং তনবাম ॥২৬ অধুনা ব্রাহ্মণানামভিপ্রেতং তাদৃশ শব্যস্ত ধ্বন্তর্থমাহ । ধটবং যুয়ং শুভামূৰ্য্য অস্তগত”।এই একই শব যেরূপ অধিকারী ভেদে বিবিধ অর্থ প্রকাশ করে অর্থাৎ গোপালগণ “সূর্য্য অস্তগত" বলিলে যেরূপ তাহীদের সজাতীয়গণ, 'গে- সঙ্কলনের সময় উপস্থিত হইয়াছে’— এইরূপ অর্থবোধ করে, ব্রাহ্মণগণ বলিলে, তাহাদের সজাতীয়গণ “সন্ধাবন্দনার সময় হইল” এইরূপ অর্থগ্রহণ করেন, সেইরূপ ‘মুকুন্দ বনগমন করিতেছেন" এই একই শব্দ তখন অধিকারীভেদে বিবিধ অর্থ প্রকাশ করিল। প্রথমতঃ নন্দগোষ্ঠস্থিত কৃষ্ণসখীগণ এই শব্দ শ্রবণ যেমন তাহাদের একজন বলিয়া উঠিলেন—“মুকুন্দ বন গমন করিতেছেন” আমনই অন্যান্য সখীগণ বুঝিলেন – “শ্রীকৃষ্ণ যখন বৃন্দাবনে গোচারণার্থ বহির্গত হইয়াছেন, তখন আর বিল স্ব করা উচিত নহে । অতএব হে সখে । তুমি অবিলম্বে যাইয়া ধেমুপালকে বনপথের অভিমুখী কর। আমরা অদ্য গোবন্ধনের সানুদেশে শ্ৰীকৃষ্ণের সহিত মল্লক্রীড়ারঙ্গ করিব ॥২৬ তারপর পুরবাসী ব্রাহ্মণগণ "মুকুন্দ বন গমন করিতেছেন” এই শব্দ শুনিয়া এইরূপ অৰ্থবোধ করিলেন যে,—হে বটুগণ তোমর দর্ভপাণি হইয়া বহু শুভাশীৰ্ব্বচন দ্বারা এবং শান্তিমন্ত্রে অভিমতি