や〉や শ্ৰীকৃষ্ণভাবনামৃতম | দু্যতকেলি জয়-কৈরব চান্দ্রজ্যোত্তিরেব সখি ! রাজসি রাধে । কিং হুনোতু পরিভৃতি তমিস্ৰং নিত্যমেব ধৃতগৰ্ব্বভৰ্তী ন? ॥৩ ইখমালিকৃত মন্ত্রণয়োচে রাধয়া প্রিয়তম ! প্রভবিষ্ণে । । নর্তকীং ন কিমুরীকুরুষে ত্বং ৪। ( কলাপকং ) ললিতা আহ । হে সখি ! চু্যতক্রীড়ায়াং জয়রূপকৈরবস্ত কুমুদস্ত চান্দ্রজ্যোতিঃ স্বরূপ ত্বং রাজসি কিং পরাভবরূপ তমিক্সং অন্ধকারঃ নিত্যং ধুতগৰ্ব্বততীঃ নোহন্মান দুনোতু। ন হি চান্দ্র জ্যোংক্ষোদয়েইন্ধকার স্তিষ্ঠতীতি ভাবঃ ॥৩৫ ইখং আল্যা সহ কৃতমন্ত্রণয়ী রাধয়। উচে । হে প্রিয়তম ! হে প্রভবিষ্ণো ! পাশকযুদ্ধস্ত চাতুয্যরূপনৃত্যস্থলে জিগীষারূপ নৰ্ত্তকীং ত্বং কিং ন উরীকুরুষে ? তথা চ তস্যা: সঙ্গীকরণে কৃত নৰ্ত্তকীসঙ্গস্য তব সঙ্গেহস্মাভি স্ত্যাজ্য অকরণে ৮ পরাজয়ঃ স্বয়মেব ভবিষ্যতীতি ভাব: ॥৪। শ্ৰীমধার বাক্যে শ্ৰীকৃষ্ণাপেক্ষ নিজেদের বুদ্ধিতাৎপর্য্যের আধিক্য সূচিত হওয়ায় ললিত। বড়ই সস্তুষ্ট হইলেন । সহাস্তে কহিলেন—“সখি ! রাধে ! পাশা-ক্রীড়ায় জয়-কুমুদের চন্দ্রজ্যোতি স্বরূপে তুমি যখন বিরাজ করিতেছ, তখন পরাভব রূপ অন্ধকার নিত্য গৰ্ব্বান্বিত হইয়। আর কিরূপে আমাদিগকে দুঃখ প্রদান করিবে, বল ? জ্যোৎস্নার উদয়ে অন্ধকার কি থাকিতে পারে ? কখনই না ॥৩ প্রিয়সৰী ললিতার সহিত এইরূপ মন্ত্রণ পূর্বক শ্রীরাধ গর্বোৎফুল্ল হৃদয়ে শ্ৰীকৃষ্ণকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন —“হে প্রিয়তম ! হে প্রভাবিষ্ণো ! পাশক-ক্রীড়া-রণের চাতুর্য্য-রঙ্গস্থলে তুমি জিগীষা-নর্তকীকে অঙ্গীকার করিতেছ না কেন ?”
