পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । ’ * vg আমার নিতান্ত বাসনা ছিল, কিন্তু এবম্বিধ বিপুল গ্রন্থের অনুবাদ করণে আমার অবকাশ নাই। তজ্জন্য সম্প্রতি ঐ গ্রন্থের মূল তাৎপৰ্য্য অবলম্বন পূর্বক প্রয়োজনীয় বিষয় সকল ত্রীকৃষ্ণসংহিতা গ্ৰন্থরূপে সংগ্ৰহ করিলাম। সংগ্ৰহ করিয়াও সন্তোষ না হওয়ায় তাহাকে বঙ্গভাষায় অনুবাদ করিলাম। আশা করি পরমার্থতত্ত্ব নিরূপণে এই গ্রন্থখানি বিজ্ঞজনেরা সৰ্ব্বদা গাঢ়রপে আলোচনা করিবেন। পরমার্থতত্ত্বে সকল লোকেরই অধিকার আছে। কিন্তু আলোচকগণের অবস্থাক্রমে র্তাহাদিগকে তিন ভাগে বিভাগ করা যায়।" র্যাহাদের স্বাধীন বিচার শক্তির উদয় হয় নাই তাহারা কোমলশ্রদ্ধ নামে প্রথম ভাগে অবস্থান করেন । বিশ্বাস ব্যতীত তাহীদের গতি নাই। শাস্ত্রকার যাহা বলিয়াছেন তাহা ঈশ্বরাজ্ঞা বলিয়া না মানিলে তাহীদের অধোগতি হইয়া পড়ে। র্তাহারা শ্ৰীকৃষ্ণ তত্ত্বের স্কুলার্থের অধিকারী, সূক্ষার্থ বিচারে তাহাদের অধিকার নাই। যে পৰ্য্যন্ত সাধুসঙ্গ ও সদৃপদেশ দ্বারা ক্রমোন্নতি সূত্রে তাহার উন্নত না হন সে পর্য্যন্ত র্তাহারা বিশ্বাসের আশ্রয়ে আত্মোন্নতির যত্ন পাইবেন। বিশ্বস্ত বিষয়ে যুক্তিযোগ করিতে সমর্থ হইয়াও র্যাহারা পারংগত না হইয়াছেন তাহারা যুক্ত্যধিকারী বা মধ্যমাধিকারী বলিয়া পরিগণিত হন। পারংগত পুরুষেরা সৰ্ব্বার্থসিদ্ধ : তাহারা অর্থ সকল দ্বারা স্বাধীন

  • যশ্চ মূঢ়তমোলোকে শ বুদ্ধেঃ পরংগতঃ। * তাবুভৌ সুখমেধেতে ক্লিশ্যত্যন্তরিতোজনঃ ॥ ভাগবস্তং ।