পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সওমোহ ধ্যায়ঃ | এষা লীলা বিভোনিত্য গোলোকে শুদ্ধধর্মনি । স্বরূপভাবসম্পন্না চিন্দ্রপবৰ্ত্তিনী কিল ॥ ১ ॥ চিৎপ্রভাবগত পরাশক্তির সন্ধিনী-ভাবকৃত বৈকুণ্ঠ, ইহা পূৰ্ব্বে কথিত হইয়াছে। বৈকুণ্ঠ তিনভাগে বিভক্ত অর্থাৎ মাধুৰ্য্যগত বিভাগ, ঐশ্বৰ্য্যগত বিভাগ ও নিৰ্ব্বিশেষ বিভাগ । নির্বিশেষ বিভাগট বৈকুণ্ঠের আবরণভূমি । বহিঃপ্রকোষ্ঠের নাম নারায়ণধাম এবং অন্তপুরের নাম গোলোক। নিৰ্ব্বিশেষ উপাসকেরা নিৰ্ব্বিশেষবিভাগ অর্থাৎ ব্রহ্মধামকে প্রাপ্ত হইয়া মায়াজনিত শোক হইতে মুক্তি প্রাপ্ত হন। ঐশ্বৰ্য্যগত ভক্তবৃন্দ নারায়ণধাম প্রাপ্ত হইয়া অভয়লাভ করেন। মাধুৰ্য্যাস্বাদী ভক্তজন অন্তঃপুরস্থ হইয়া কৃষ্ণামৃত লাভ করেন। অশোক, অভয় ও অমৃত এই তিনটী খ্রীকৃষ্ণের ত্রিপাদ বিভূতি নিত্য বৈকুণ্ঠগত । বিভূতিযোগে পরব্রহ্মের নাম বিভু হইয়াছে। মায়িক জগংটা শ্ৰীকৃষ্ণের চতুর্থ বিভূতি। আবির্ভাব হইতে অন্তৰ্দ্ধান পৰ্য্যন্ত নানা সম্বন্ধঘটিত লীলা গোলোকধামে বর্তমান আছে । বদ্ধজীবে যে গোলোকভাব প্রতিভাত অাছে, তাহাতে ও এই লীলা নিত্য, যেহেতু অধিকারভেদে কোন ভক্তহৃদয়ে এই মুহূৰ্ত্তে কৃষ্ণজয় হইতেছে, কোন ভক্তহৃদয়ে বস্ত্রহরণ, কোন হৃদয়ে মহারাস, কোন হৃদয়ে পূতনাবধ, কোন হৃদয়ে কংসবধ, কোন হৃদয়ে কুজাপ্রণয় এবং কোন হৃদয়ে ভক্তের জীবনত্যাগসময়ে অন্তৰ্দ্ধান হইতেছে। দেমত জীব সকল অনস্ত তদ্রুপ জগৎসংখ্যা ও অনন্ত, অতএব এক জগতে এক লীলা ও অন্য জগতে অন্য লীলা এরূপ শশ্বত বর্তমান আছে । অতএব ভগবানের সমস্ত লীলাই নিত্য কখনই লীলার বিরাম নাই, যেহেতু ভগবচ্ছক্তি সৰ্ব্বদাই ক্রিয়াবতী। এই সমস্ত লীলাই স্বরূপ-ভাবগত অর্থাৎ মায়িকবিকাবগত নয়। যদি ও মায়াবশতঃ বদ্ধজীবে ঐ লীলা বিকৃতবৎ বোধ হয় তথাপি তাহার নিগূঢ় সত্তা চিদ্ৰপবর্কিনী। ১। সেই লীলা