শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা । مثلا মণ্ডলে না থাকায় এক মণ্ডল অন্য মণ্ডল হইতে ভিন্ন হইয়া যায় ও ক্রমশঃ স্ব স্ব উপাধি ও উপকরণ সকলকে অধিক মান্য করিয়া ভিন্ন ভিন্ন মণ্ডলীয় ব্যক্তিগণকে ঘৃণা করতঃ অপদস্থ জ্ঞান করে । এই সম্প্রদায় লক্ষণটা প্রাচীনকাল হইতে সৰ্ব্বদেশে দৃষ্ট হয়। কোমলশ্রদ্ধ পুরুষদিগের মধ্যে ইহা অত্যন্ত প্রবল। মধ্যমাধিকারীরাও কিয়দংশে ইহাকে বরণ করেন। উত্তমাধিকারীগণের সাম্প্রদায়িকতা নাই । লিঙ্গনিষ্ঠাই সম্প্রদায়ের প্রধান চিহ্ন । লিঙ্গ তিন প্রকার অর্থাৎ আলোচকগত, আলোচনাগত ও আলোচ্যগত । সাম্প্রদায়িক সাধকগণ কতকগুলি বাস্থ্যচিছু স্বীকার করেন তাহাই আলোচকগত লিঙ্গ । মাল্যতিলকাদি, গেরুয়া বস্ত্রাদি ও বিদেশীয়গণের মধ্যে ব্যাপটিসমৃ সুন্নতাদি ইহার উদাহরণ। উপাসনা কার্য্যে যে সকল ভিন্ন ভিন্ন কার্য্য নির্ণীত হয় তাহাই আলোচনাগত লিঙ্গ যজ্ঞ, তপস্যা, হোম, ব্রত, স্বাধ্যায়, ঈজ্যা, দেবমন্দির, বিশেষ বিশেষ বৃক্ষ নদ্যাদির বিশেষ বিশেষ পবিত্র্য, মুক্তকচ্ছতা, আচার্য্যাভিমান, বদ্ধকচ্ছতা, চক্ষুনিমীলন, বিশেষ বিশেষ পুস্তকদির সম্মাননা, আহারীয় বস্তু সমুদায়ে বিধি নিষেধ, বিশেষ বিশেষ দেশ কালের পবিত্রতা ইত্যাদি ইহার উদাহরণ। পরমেশ্বরের নিরাকার সাকার ভাবস্থাপন, ভগবদ্ভাবের নির্দেশক নিরূপণ অর্থাৎ মূর্ত্যাদি স্থাপন, তাহার অবতার চেষ্টা প্রদর্শন ও বিশ্বাস, স্বর্গ নরকাদি কল্পনা, আত্মার ভাবী অবস্থা বর্ণন ইত্যাদি আলোচ্যগত লিঙ্গের উদাহরণ।
