পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তমোহধ্যায়: | 59 যা লীলা সৰ্ব্বনিষ্ঠাতু সমাজজ্ঞানবৰ্দ্ধনাং । নারদব্যাসচিত্তেষু দ্বাপরে সা প্রবর্তিতা ॥ ৪ ॥ দ্বারকায়াং হরিঃ পূর্ণোমধ্যে পূর্ণতরঃ স্মৃতঃ । মথুরায়াং বিজানীয়াৎ ব্রজে পূর্ণতমঃ প্ৰভুঃ ॥ ৫ ॥ পূর্ণত্বং কল্পিতং কৃষ্ণে মাধুর্য্যশুদ্ধতাক্ৰমাৎ । , ব্রজলীলা বিলাসোহি জীবানাং শ্রেষ্ঠভাবন ॥ ৬ ॥ সমস্ত জনসমাজকে এক ব্যক্তি জ্ঞান করিয়া উহার বাল্য, যৌবন ও বুদ্ধাবস্থা বিচার করিলে দেখা যায় যে, সাধারণ আলোচনাক্রমে কোন সময়ে ভগবদ্ভাব সামাজিক সম্পত্তি হইয়া উঠে এবং সমাজের জ্ঞানবৃদ্ধিক্রমে প্রথমে উহা কৰ্ম্মবশ পরে জ্ঞানপর এবং অবশেষে চিদমুশীলনরূপ পরম ধৰ্ম্মের প্রবলতাক্রমে বিশুদ্ধ হইয় উঠে । সেই সৰ্ব্বনিষ্ঠ লীলাগত ভাব দ্বাপরযুগে নারদ ব্যাসাদির চিত্তে উদিত হওয়াতে অপ্রাকৃত বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের প্রচার হইয়াছে । ৪ । সমাজজ্ঞানসমৃদ্ধিক্রমে যে কৃষ্ণলীলারূপ বৈষ্ণব ধৰ্ম্মের প্রকাশ হইল তাহা তিন ভাগে বিভাজ্য । তন্মধ্যে দ্বারকালীলা প্রথম ভাগ এবং ভগবান তাহাতে ঐশ্বৰ্য্যাত্মক বিধিপরায়ণ বিভূস্বরূপ উদিত হইয়াছেন । মধ্যলীলা মাথুর বিভাগে লক্ষিত হয়, তাহাতে ভগবানের ঐশ্বৰ্য্য ততদূর প্রস্ফুটিত নহে, অতএব অধিকতর মাধুর্য্য তাহাতে নিহিত আছে। কিন্তু তৃতীয় বিভাগে ব্রজলীলা সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট বলিয়া গণ্য হইয়াছে। যে লীলাতে যতদূর মাধুৰ্য্য সেই লীল ততদূর উৎকৃষ্ট ও স্বরূপসন্নিকর্ষ। অতএব ব্রজলীলায় শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্র পূর্ণতম। ঐশ্বৰ্য্য যদিও বিভুতার অঙ্গবিশেষ তথাপি কৃষ্ণতত্ত্বে তাহার প্রাবল্য সম্ভব হয় না ; যেহেতু যেখানে, ঐশ্বৰ্য্যের অধিক প্রভাব সেইখানেই মাধুৰ্য্যের লোপ হয়, ইহা মায়িক জগতেও প্রতীয়মান আছে । অতএব গো, গোপ, গোপী, গোপবেশ, গোরসোস্তুত নবনীত, বন, কিশলয়, যমুনা, বংশী প্রভৃতি যে স্থানের সম্পত্তি সেই স্থানই ব্ৰজগোকুল, অর্থাৎ বৃন্দাবন বলিয়া সমস্ত মাধুর্য্যের আস্পদ হইয়াছে। সেখানে ঐশ্বৰ্য্য কি করিবে ? ৷ ৫ ৷ ৬ ৷ সেই ব্রজলীলায় দাস্ত, সখ্য,