নবমোছধ্যায়: । > 8% মায়াসুতস্য বিশ্বস্য চিচ্ছায়ত্ত্বাৎ সমানত । চচ্ছওr্যাবিটিতে কার্য্যে সমাধাবপি চাক্সনি ॥ ৩ ॥ তস্মাত্ত ব্রজভাবানাং কৃষ্ণনামগুণাত্মনাং । , , গুণৈর্জাড্যাত্মকৈঃ শশ্বৎ সাদৃশ্যমুপলক্ষ্যতে ॥ ৪ ॥ সেই আত্মপ্রত্যক্ষরূপ সহজ সমাধি অবলম্বনপুৰ্ব্বক ব্রজলীলা লক্ষিত ও বর্ণিত হইয়াছে। তবে যে তদ্বর্ণনে মায়িক প্রায়, নাম, রূপ, গুণ ও কৰ্ম্ম লক্ষিত হয়, সে কেবল মায়াপ্রস্থত বিশ্বের নিজ আদর্শ বৈকুণ্ঠের সহিত সমানত প্রযুক্ত বলিতে হইবে। বাস্তবিক আত্মায় যে সহজ সমাধি আছে তাহা চিচ্ছত্ত্যাবিস্কৃত কাৰ্য্যবিশেষ । তদ্বারা যাহা যাহ। লক্ষিত হইতেছে, সে সমস্ত মায়িক জগতের আদর্শমাত্র,—অনুকরণ নয়। ৩। এই কারণবশতঃ কৃষ্ণ-নামগুণদিম্বরূপ ব্রজভাব সকলের সহিত জড়োদিত নাম, গুণ, রূপ, কৰ্ম্ম প্রভৃতির সর্বদা সাদৃশু লক্ষিত হয়। ৪ । ঐ আত্ম প্রত্যক্ষ স্বপ্রকাশস্বভাব । পণ্ডিতেরা ইহাকে সমাধি বলেন । ইহা অতিশয় স্থম্মস্বরূপ। কিঞ্চিম্মাত্র সংশয়ের উদয় হইলে লোপপ্রায় হইয়া যায়। আত্মার স্বসত্তাতে বিশ্বাস, ইহার নিত্যত্ব ও ইহার সহিত পরব্রহ্মের সম্বন্ধ ইত্যাদি অনেকগুলি সত্য ঐ সহজ সমাধিদ্বারা জীবের উপলব্ধি হয়। যদি আমি আছি কি না, মরণের পর আমার সত্ত থাকিবে কি না এবং পরব্রহ্মের সহিত আমার কিছু শুদ্ধ আছে কি না, এরূপ যুক্তিগত কোন সংশয়ের উদয় হয়, তাহ হইলে ঐ সকল সত্যসংস্কারাত্মক ভ্রমবিশেষ বলিয়া পরিচিত হইতে হইতে ক্রমশঃ লুপ্ত হইয়া যায়। সত্যের লোপ নাই, এজন্ত তাহার। লুপ্তপ্রায় থাকে। আত্মার নিত্যত্ব ও ব্রহ্মের অস্তিত্ব প্রভৃতি সত্য সকল যুক্তি দ্বারা স্থাপিত হইতে পারে না, কেননা যুক্তির প্রপঞ্চাতীত বিষয়ে গতি নাই। আত্মপ্রত্যক্ষই ঐ সকল সত্যের একমাত্র স্থাপক। ঐ আত্মপ্রত্যক্ষ -ব সহজ সমাধি দ্বারা জীবের নিত্যধাম বৈকুণ্ঠ ও নিত্যক্রিয় কৃষ্ণদাস্ত সততই সাধুদিগের প্রতীত হয় । আত্মা যখন সহজ সমাধি অবলম্বন করেন, তখন প্রথমে আত্মবোধ, দ্বিতীয়ে আত্মার ক্ষুদ্রতাবোধ,
