পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবমোহধ্যায়ঃ । &\రి ব্রজভাবাশ্রয়ে কৃষ্ণে শ্রদ্ধাতু রাগরূপকা । তস্মাৎ সঙ্গোথ সাধুনাং বর্ততে ব্ৰজবাসিনাং ॥ ১৮ ॥ কদাচিদভিসারঃ স্যাদযমুনাতটসন্নিধোঁ । ঘটতে মিলনং তত্র কান্তেন সহিতং শুভং ॥ ১৯ ॥ কৃষ্ণসঙ্গাৎ পরানন্দঃ স্বভাবেন প্রবর্ততে । পূৰ্ব্বাশ্ৰিতং সুখং গার্হ্যং তৎক্ষণাৎ গোষ্পদীয়তে ॥২০ ॥ বৰ্দ্ধতে পরমানন্দো হৃদয়েচ দিনে দিনে । আত্মনামাত্মনি প্রেষ্ঠে নিত্যনূতনবিগ্রহে ॥ ২১ ॥ শ্রদ্ধাই পূৰ্ব্বরাগ অর্থাৎ রাগের প্রাগ ভাব । সেই শ্রদ্ধার উদয় হইলে ব্ৰজবাসী সাধুদিগের সঙ্গ হয় । সাধুসঙ্গই কৃষ্ণলাভের হেতু । ১৮। এইরূপ ভাগ্যবান পুরুষদিগের ক্রমশঃ কৃষ্ণাভিমুখ অভিসার হইতে হইতে চিদ্ৰ বতারূপ যমুনার তটে পরম কাস্তুের সহিত শুভ মিলন হয়। ১৯ । তখন কৃষ্ণসঙ্গক্রমে ব্ৰহ্মানন্দ তুচ্ছকারী পরানন্দ স্বভাবতঃ প্রবৃত্ত হয় । সুতরাং পূৰ্ব্বাশ্রিত মায়িক গাহ মুখ তৎক্ষণাৎ প্রেমসমুদ্রের নিকট গোস্পদের তুল্য হইয়া পড়ে । ২০ । তাহার পর, প্রতিদিন সমস্ত আত্মার আত্মাস্বরূপ নিত্য নুতন বিগ্রহে পরম্বনেন্দ, অসীম হইয়া বৃদ্ধি পাইতে থাকে । ভগবদ্বিগ্রহ সৰ্ব্বক্ষণ রসরসাস্তরের আশ্রয় হইয়া অপূৰ্ব্ব নুতনতা অবলম্বন করে । অর্থাং আশ্রিতজনের রসপিপাসা বৃদ্ধি হয়, কখনও তৃপ্ত হয় না । চিজগতে শান্তাদি পাচটা সাক্ষাৎ রস ও বীর করুণাদি সাতটা গৌণরস সমাধিগত পুরুষেরা দর্শন করিয়াছেন । যখন বৈকুণ্ঠতত্ত্বের প্রতিচ্ছায়ারূপ মায়িক জগৎ পরিলক্ষিত হইয়াছে, তখন মারিক জগতস্থ সকল রসেরই আদর্শ বৈকুণ্ঠে বিশুদ্ধভাবে আছে, ইহাতে সন্দেহ কি । ২১ । পূৰ্ব্ববিচারিত রতির মূলতত্ত্ব গাঢ়রূঞ্জে পুনরায় বিচারিত হইতেছে। সান্দ্রানন্দরূপ প্রীতির বীজস্বরূপ রতিই ভজনক্রিয়ার মূল তত্ত্ব। চিদানন্দ জীবের সচ্চিদানন্দ ভগবত্তত্ত্বের প্রতি যে স্বতঃসিদ্ধ। আমুরক্তি তাহাই রতি। চিদ্বস্তুর পরস্পর न