পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশমোহ ধ্যায়ঃ । যেষাং রাগোদিতঃ কৃষ্ণে শ্রদ্ধা বা বিমলোদিত । তেষামাচরণং শুদ্ধং সর্বত্র পরিদৃশ্বতে ॥ ১ ॥ ব্ৰজভাবগত কৃষ্ণভক্তদিগের আচরণ ব্যাখ্যা করিতেছেন। শ্রীকৃষ্ণে যাহাদের রাগ উদিত হইয়াছে, অথবা পূৰ্ব্বরাগরূপ শ্রদ্ধার উদয় হইয়াছে, র্তাহাদের আচরণ সৰ্ব্বত্র বিশুদ্ধরূপে লক্ষিত হয় । অর্থাৎ তাহাদের আচরণ নির্দোষ । এস্থলে রাগতত্ত্বের স্বরূপ বিচার করা প্রয়োজন । চিত্ত ও বিষয়ের বন্ধনস্থত্রের নাম প্রীতি । সেই বন্ধনস্থত্র বিষয়ের যে অংশ অবলম্বন করিয়া থাকে তাহার নাম রঞ্জকতা ধৰ্ম্ম । চিত্তের যে অংশ অবলম্বন করিয়া থাকে তাহার নাম রাগ। চিত্ত ও বিষয়ের বিচারটা বিশুদ্ধ আত্মগত রাগ ও অশুদ্ধ মনোগত রাগ উভয়েরই সামান্ত লক্ষণ । রাগ যখন প্রথমে কিয়ৎ পরিমাণে আত্মপরিচয় দেয়, তখন তাহার নাম শ্রদ্ধা । শ্রদ্ধাবান ও অনুরক্ত উভয়বিধ পুরুষের চরিত্র সৰ্ব্বত্ৰ নিৰ্ম্মল | ১ । যদি বলেন, ইহার কারণ কি ? তবে শ্রবণ করুন । জীবের রাগতত্ত্ব এক। বিষয়রাগ ও ব্রহ্মরাগে সুওর ভিন্নতা নাই, কেবল বিষয়ের ভিন্নত মাত্র। ঐ রাগ যখন বৈকুণ্ঠাভিমুখ হয়, তখন প্রপঞ্চ বিষয়ে রাগ থাকে না, কেবল আবশুকমত প্রপঞ্চ স্বীকার ঘটিয়া থাকে। স্বীকৃত বিষয় সকলও তখন বৈকুণ্ঠভাবাপন্ন হয়, অতএব সমস্ত রাগই অপ্রাকৃত হইয়া পড়ে। রাগাভাব হইলে আসক্তি অবশুই থৰ্ব্ব হয় এবং অশুদ্ধরূপে বিষয় স্বীকারে একপ্রকার অশ্রদ্ধা স্বভাবতঃ লক্ষিত হয় । অতএব ভক্তজনের পাপকাৰ্য্য প্রায়ই অসম্ভব যদিও কদাচিৎ অশুদ্ধাচার হইয় পড়ে তুম্বন্তও তাহদের প্রায়শ্চিত্ত নাই। ইহার মূল তাৎপৰ্য্য এই যে, পাপ কাৰ্য্যরূপী ও বাসনারূপী । কাৰ্য্যরূপী পাপকে পাপ বলা যায় এবং বাসনারূপী পাপকে পাপবীজ বলা যায় । কাৰ্য্যরূপী পাপের স্বরূপ সিদ্ধাবস্থা নাই, যেহেতু বাসনা অনুসারে একই