পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> シマ শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা । চিৎসত্ত্বে প্রেমবাহুল্যাল্লিঙ্গদেহে মনোময়ে । মিশ্রভাবগত সাতু প্রীতিরুৎপ্লাবিত সতী ॥ ১০ ॥ নয় ; যেহেতু লিঙ্গভঙ্গ পর্য্যন্ত উহা নিসর্গসিদ্ধ থাকে। জড় হইতে আদৌ যে সকল মানসক্রিয়া সংগৃহীত হইয়া থাকে ঐ সকলই প্রপঞ্চজনিত পৌত্তলিকভাব ;–কিন্তু সমাধিগত আত্মচেষ্টা হইতে যে সকল ভাব উচ্ছলিত হইয়া মানসযন্ত্রে ও ক্রমশঃ দেহে ব্যাপ্ত হয়, সে সকল চিৎপ্রতিফলনস্বরূপ সত্যগর্ভ । ১০ । অতএব বদ্ধজীবে প্রীতির কার্ষ্য সকল মানসিক কাৰ্য্য বলিয়া লক্ষিত হয় ; ঐ সকল মানসগত চিৎপ্রতিফলন পুনরায় অধিকতর উচ্ছলিত হইয়া দেহগত হয়। জিহবাগ্রে আসিয়া চিৎপ্রতিফলিত ভগবন্নামগুণাদি কীৰ্ত্তন করে । কর্ণ সন্নিকটস্থ হইয়। ভগবন্নামগুণাদি শ্রবণ স্বরূপ প্রাপ্ত হয়। চক্ষুগত হইয়া জড় জগতে প্রেমময় সচ্চিদানন্দ প্রতিফলিত ভগবন্মুৰ্ত্তি দর্শন করে। আত্মগত শুদ্ধসাত্ত্বিক ভাব সকল দেহে উচ্ছলিত হইয়া পুলক, অশ্র, স্বেদ, কম্প, নৃত্য, দণ্ডবন্নতি, লুণ্ঠন, প্রেমালিঙ্গন, ভগবত্তীর্থপর্য্যটন প্রভৃতি কাৰ্য্য সকল উদিত করে । আত্মগত ভাব সকল আত্মাতেই সক্রিয়রপে অবস্থান করিতে পারিত, কিন্তু আত্মার স্বরূপাবস্থান সম্বন্ধে ভগবৎকৃপাই প্রাকৃত জগতে চিন্তাবের উচ্ছলনকার্য্যে প্রধান উদ্যোগী। বিষয়রাগকে ভগবদ্রাগরূপে উন্নত করিবার আশয়ে প্রবৃত্তির পরাগতি পরিত্যাগ ও প্রত্যগগতি সাধনের জন্য ভগবদ্ভাব সকল বিষয়ে বিমিশ্রিত হইয়াছে । মনোঘন্ত্রের দ্বারা ইন্দ্রিয়দ্বার অতিক্রম করত আত্মা যে বিষয়াভিমুখে ধাবমান হন তাহার নাম আত্মার পরাগতি । ঐ প্রবৃত্তিস্রোত পুনরায় স্বধাম ফিরিয়া যাইবার নাম প্রত্যগতি । সুখাদ্য লালসার প্রত্যগ্ধৰ্ম্ম সাধনার্থে মহাপ্রসাদ সেবন ব্যবস্থাপিত হইয়াছে। শ্ৰীমূৰ্ত্তি ও তীর্থাদি দর্শন দ্বারা দর্শনবৃত্তির প্রত্যগমন সাধিত হয় । হরিলীলা ও ভক্তিস্থচক গীতাদি শ্রবণদ্বারা শ্রবণপ্রবৃত্তির প্রত্যগতি সম্ভব । ভগবদপিত তুলসী চন্দনাদি সুগন্ধি গ্রহণদ্বারা গন্ধপ্রবৃত্তির বৈকুণ্ঠগতি সনকাদির চরিত্রে সিদ্ধ হইয়াছে। বৈষ্ণব সংসার সমৃদ্ধিমূলক বিবাহিত ভগবৎপর পত্নী