পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা । و را نجا বৈষ্ণবাঃ কোমলশ্রেদ্ধা মধ্যমাশ্চোত্তমাস্তথা । গ্রন্থমেতৎ সমাসাদ্য মোদন্তাং কৃষ্ণপ্রীতয়ে ॥ ১৮ ॥ পরমার্থবিচারেহস্মিন বাহদোষবিচারতঃ । নকদাচিন্ধতশ্রদ্ধঃ সারগ্রাহিজনোভবেৎ ৷ ১৯ ৷ ইহাতে সন্দেহ নাই। ত্ৰিবিধ বৈষ্ণবের মধ্যে উত্তমাধিকারী পুরুষের কুসংস্কার ও জড়ত থাকে না। অনেক বিষয় সম্বন্ধে জ্ঞানাভাব থাকিতে পারে, কিন্তু সারগ্রাহী প্রবৃত্তি প্রবলরূপে সমস্ত কুসংস্কারকে একেবারে দূর করে। মধ্যমাধিকারী বৈষ্ণব ভারবাহী হইতে ইচ্ছা করেন না, কিন্তু সারগ্রাহী প্রবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে বলবতী না থাকায় তাহদের হৃদয়ে পূৰ্ব্ব কুসংস্কারজনিত কিছু কিছু সংশয় বলবান থাকে। ইহার চিদগতবিশেষতত্ত্ব ও সহজ সমাধি স্বীকার করিয়াও যুক্তির মুখাপেক্ষায় বৈকুণ্ঠতত্বকে সম্যক রূপে দর্শন করিতে পারেন না । কোমলশ্রদ্ধ পুরুষেরা বৈষ্ণবপদবী প্রাপ্ত হইয়াও কুসংস্কারের নিতান্ত বশবৰ্ত্তা থাকেন। ইহার কৰ্ম্মসঙ্গী ও বৈধ শাসনের অধীন। যদিও ইহঁার এই গ্রন্থের সাক্ষাৎ অধিকারী নহেন, তথাপি উত্তমাধিকারীর সাহায্যে ইহার আলোচনা করিয়া উত্তমাধিকারীত্ব লাভ করিবেন। অতএব ত্রিবিধ বৈষ্ণবেরাই শ্ৰীকৃষ্ণপ্রীতি সংবৰ্দ্ধনার্থ এই শাস্ত্রালোচনায় পরমানন্দ লাভ করুন । ১৮। এই গ্রন্থে পরমার্থ বিচার হইয়াছে, ইহার ব্যাকরণ অলঙ্কারাদি সম্বন্ধে দোষ সমুদায় গ্রাহ নয়। তাহ লইয়া সারগ্রাহীজনেরা বৃথালোচনা করেন না । এই গ্রন্থ আলোচনা সময়ে যাহার। ঐ বাহ্যদোষ সকলকে বিশেষরূপে সমালোচনা করিয়া পরমার্থসারসংগ্ৰহরূপ এই গ্রন্থের প্রধান উদ্দেশুের ব্যাঘাত করিবেন তাহার। ইহার অধিকারী নহেন। বালবিদ্যাগত তর্ক সমুদায় গম্ভীর বিষয়ে নিতান্ত হেয় । ১৯। অষ্টাদশ শত শকাব্দে উড়িষ্যাদেশমধ্যবৰ্ত্তী ভদ্রকনগরে কার্য্যগতিকে অবস্থিতিকালে কলিকাতার হাটখোলাস্থ দত্তবংশীয়