পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S१० শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা । হইবে। অনতিবিলম্বেই জড় জগতের উপর দৃষ্টিপাত হইলে, বিচারক অনায়াসে দেখিতে পান যে, বস্তু বাস্তবিক তিনটী অর্থাৎ আত্মা, পরমাত্মা ও জড় জগৎ । যে সকল ব্যক্তিগণ আত্মার উপলব্ধি করিতে পারেন না, তাহার আপনাকে জড়াত্মক বলিয়া সন্দেহ করেন। র্তাহাদের বিবেচনায় জড়ই নিত্য ; জড়গত ধৰ্ম্ম সকল অনুলেীম বিলোম ক্রমে চৈতন্যের উৎপত্তি করে এবং তদ্ভদবস্থা ব্যতিক্রম যোগে উৎপন্ন চৈতন্যের অচৈতন্যতারূপ জড়ধৰ্ম্মে পরিণাম হয় এরূপ সিদ্ধান্ত র্তাহীদের মনে উদয় হয়। ইহার কারণ এই যে, ঐ সকল বিচারকের চিৎপ্রবৃত্তি অপেক্ষ জড় প্রবৃত্তির অধিকতর বশীভূত ও জড়ের প্রতি র্তাহদের যত আস্থা, জ্ঞানের প্রতি তত নয়। এতন্নিবন্ধন, র্তাহীদের আশা, ভরসা, উৎসাহ, বিচার ও প্রীতি সকলই জড়াশ্রিত। দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, সমাধিস্থ পুরুষদিগের ব্যবহার সমুদায় হুঁহাদের বিচারে চিত্তবৃত্তির পীড়াস্বরূপ বলিয়া বোধ হয়। র্তাহীদের সহিত আমাদের বিচারের সম্ভাবনা নাই, যেহেতু তাহারা যে বৃত্তি অবলম্বন পূর্বক অপ্রাকৃত বিষয় বিচার করেন, আমরা সে বৃত্তি অবলম্বন করিতে স্বীকার নই। র্তাহারা যুক্তিবৃত্তির অধীন। যুক্তি কখনই আত্মনিষ্ঠ বিচারে সমর্থ নয়। তদ্বিষয়ে নিযুক্ত হইলে কোন ক্রমেই কাৰ্য্যে সমর্থ হয় না । অণুবীক্ষণ যন্ত্র কর্ণে লাগাইলে কি হইবে ? মাইক্রাফন যন্ত্রদ্বারা কি ছবি দেখা যায় ? অতএব যুক্তিযন্ত্র দ্বারা কিরূপে বৈকুণ্ঠ দর্শন হইবে ?