পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ● শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা । এব কেবল অর্থচেষ্ট হইতে পরমার্থচেষ্টার উদয়কালকে ঈষৎ সাম্মুখ্য বলা যায়। ঈষৎ সাম্মুখ্য হইতে উত্তমাধিকার পৰ্য্যন্ত অসংখ্য অধিকার লক্ষিত হয়* । প্রাকৃত জগতে ব্ৰহ্ম জিজ্ঞাসার নাম শাক্তধৰ্ম্ম । প্রকৃতিকে জগৎকত্রী বলিয়া ঐ ধৰ্ম্মে লক্ষিত হয়। শাক্তধৰ্ম্মে যে সকল আচার ব্যবহার উপদিষ্ট আছে সে সকল ঈষৎ সাম্মুখ্য উদয়ের উপযোগী । আর্থিক লোকের যে সময়ে পরমার্থ জিজ্ঞাসা করেন নাই তখন র্তাহাদিগকে পরমার্থ তত্ত্বে আনিবার জন্য শাক্তধৰ্ম্মেীপদিষ্ট আচার সকল প্রলোভনীয় হইতে পারে। ক্তধৰ্ম্মই জীবের প্রথম পারমার্থিক চেষ্টা এবং তদধিকারস্থ মানবগণের পক্ষে নিতান্ত শ্ৰেয়ঃ। সাম্মুখ্য অর্থাৎ ঈশ্বরসাম্মুখ্য প্রবল হইলে দ্বিতীয়াধিকারে জড়ের মধ্যে উত্তাপের শ্রেষ্ঠত ও কৰ্ম্মক্ষমতা বিচারিত হইয়া উত্তাপের মূলাধার সূৰ্য্যকে উপাস্য করিয়া ফেলে। তৎকালে সৌরধৰ্ম্মের উদয় হয়। পরে উত্তাপকেও জড় বলিয়া বোধ হইলে পশু চৈতন্তের শ্রেষ্ঠত বিচারে গাণপত্য ধৰ্ম্ম তৃতীয় স্থলাধিকারে উৎপন্ন হয়। চতুর্থ স্থলাধিকারে শুদ্ধ নরচৈতন্য শিবরূপে উপস্তি হইয়া শৈবধৰ্ম্মের প্রকাশ হয়। পঞ্চমাধিকারে জীবচৈতন্যেতর পরম চৈতন্তের উপাসনা রূপ বৈষ্ণবধৰ্ম্মের প্রকাশ হয় | পার

  • ঈষৎ সম্মিখামারভ্য প্রীতি সম্পন্নতাবধি । অধিকার ছসংখ্যেয়াঃ গুণাঃ পঞ্চবিধ মতঃ I দত্তকৌস্তভং । তম, রজস্তম, রজ, রজঃসত্ত্ব ও সত্ত্ব এই পাঁচটা গুণ ক্রমে পাচ প্রকার ধৰ্ম্ম মানবগণের পঞ্চ স্কুল স্বভাব হইতে উদয় হয় । স্বভাব ও গুণ বিচারে অর্থবাদী পণ্ডিতেরা গুণের নীচত হইতে উচ্চতা পৰ্য্যন্ত পাঁচটা স্কুল ৰিভাগ করিয়াছেন ।