পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/২০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెly শ্ৰীকৃষ্ণসংহিত । y অতএব নিরাকার ও সাকারবাদ উভয়ই অজ্ঞানজনিত ও পরস্পর বিবদমান। যুক্তি, জ্ঞানকে অতিক্রম করত তর্ক নিষ্ঠ হইলে আত্মাকে নিত্য বলিতে চাহে না । এই অবস্থায় নাস্তিকতার উদয় হয়। জ্ঞান যখন যুক্তির অনুগত হইয়। স্বস্বভাব পরিত্যাগ করে, তখন আত্মার নির্বাণকে অনুসন্ধান করে। এই অতিজ্ঞানজনিত চেষ্টাদ্বারা জীবের মঙ্গল হয় না ; যথা ভাগবতে দশম স্কন্ধেঃ ;– যেন্তেরবিন্দাক্ষ বিমুক্তমানিনস্বৰ্য্যস্তভাবাদবিশুদ্ধবুদ্ধয়: । আৰুহ কৃভেচ্ছ্রণ পরং পদং ততঃ পতন্ত্যধোনাদৃতযুদ্মদত্ত য়ঃ ॥ হে অরবিন্দাক্ষ ! জ্ঞানজনিত যুক্তিকে র্যাহারা চরমফল জানিয়া ভক্তির অনাদর করিয়াছেন, সেই জ্ঞানমুক্তাভিমানী পুরুষেরা অনেক কষ্টে পরমপদ প্রাপ্ত হইয়াও অতিজ্ঞানবশতঃ তাহা হইতে, চু্যত হন। সদযুক্তিদ্বারাও অতিজ্ঞান স্থাপিত হইতে পারে না। নিম্নলিখিত চারিট বিচার প্রদত্ত হইল । ১। ব্রহ্মনিৰ্ব্বাণই যদি আত্মার চরম প্রয়োজন হয়, তাহা হইলে ঈশ্বরের নিষ্ঠুরতা হইতে আত্মহুষ্টি হইয়াছে কল্পনা করিতে হয়। কেন না এমত অসৎ সভার উৎপত্তি না করিলে আর কষ্ট হইত না । ব্রহ্মকে নির্দোষ করিবাম জন্য মায়াকে স্বষ্টিকত্রী বলিলে ব্রহ্মেতর স্বাধীনতত্ত্ব স্বীকার করিতে হয় ।