পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। ९० > রসাম্তসিন্ধু প্রভৃতি ভক্তিশাস্ত্র দৃষ্টি করিলে পাঠক মহাশয় ভক্তি সম্বন্ধে সকল কথা অবগত হইবেন । প্রীতির ন্যায় ভক্তিপ্রবৃত্তিও দুই প্রকার, অর্থাৎ ঐশ্বৰ্য্যপর ও মাধুর্য্যপরা । ভগবানের মাহাত্ম্য ও ঐশ্বৰ্য্য কর্তৃক আকৃষ্ট হইয়া ভক্তি যখন স্বকাৰ্য্যে প্রবৃত হয় তখন ভক্তি ঐশ্বৰ্য্যপরা হয়। সাধকের স্বীয় ক্ষুদ্রতা ভাব হইতে দাস্যরসের উদয় হয়। ভগবানের পরমৈশ্বৰ্য্য প্রভাব হইতে ভগবত্তত্ত্বে অসামান্য প্রভূত লক্ষিত হয়। তখন পরমৈশ্বৰ্য্যযুক্ত পরমপুরুষ সর্বরাজ রাজেশ্বর ভাবে (নারায়ণস্বরূপে ) জীবের কল্যাণ বিধান করেন । এ ভাবটী ক্ষণিক নয়, কিন্তু নিত্য ও সনাতন। পরমেশ্বর স্বভাবতঃ সৰ্ব্বৈশ্বৰ্য্যপরিপূর্ণ। র্তাহাকে ঐশ্বর্ঘ্য হইতে পৃথক্ করা যায় না। কিন্তু ঐশ্বৰ্য্য অপেক্ষা, মাধুর্য্যরূপ আর একটা চমৎকার ভাব তাহাতে স্বরূপসিদ্ধ । ভক্তির যখন মাধুর্য্যপর ভাবটী প্রবল হয়, তখন ভগবৎসভায় মাধুর্য্যের প্রকাশ হইয় উঠে এবং ঐশ্বৰ্য্য ভাবটা সূর্য্যোদয়ে চন্দ্রালোকের ন্যায় লুপ্তপ্রায় হয়। ঐশ্বৰ্য্যভাব লীন হইলে, সেই ভগবৎসভা উচ্চোচ্চ রসের বিষয় হইয়া উঠে। তখন সাধকের চিত্ত, সখ্য, বাৎসল্য ও মধুর রস পৰ্য্যন্ত আশ্রয় করে। ভগবৎসত্তাও তখন ভক্তগনুগ্রহ বিগ্রহ, পরমানন্দ ধাম, সৰ্ব্বচিত্তাকর্ষক শ্ৰীকৃষ্ণ স্বরূপে প্লকাশিত হয়। নারায়ণ সত্তা হইতে শ্ৰীকৃষ্ণসন্তা উদয় হইয়াছে এরূপ নয়, কিন্তু উভয় সভাই বিচিত্ররূপে সনাতন ও নিত্য । ভক্তদিগের অধিকার ও প্রবৃত্তিভেদে প্রকাশভেদ য