পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। ૨૦ ? প্রয়োজন; কিন্তু তাহারা কৃষ্ণকে ব্ৰহ্ম বলিয়া জানিতেন না, কেবল সৰ্ব্বাকর্ষক কান্ত বলিয়া জানিতেন। সেইরূপ প্রবৃত্তির দ্বারা কিরূপে র্তাহীদের গুণপ্রবাহের উপরম হইয়াছিল ? তদুত্তরে শ্ৰীশুকদেব কহিলেন ;– উক্তং পুরস্তাদেতত্তে চৈদ্যঃ সিদ্ধিং যথাগতঃ। দ্বিষপ্লপি হৃষীকেশং কিমুতাধোক্ষজপ্রিয়াঃ ॥ নৃণাং নিঃশ্রেয়সার্থায় ব্যক্তির্ভগবতো নৃপ । অব্যয়স্তাপ্রমেয়স্য নিগুৰ্ণস্য গুণাত্মনঃ ॥ শিশুপাল শ্ৰীকৃষ্ণে দ্বেষ করিয়াও সিদ্ধিপ্রাপ্ত হইয়াছিল। তখন অধোক্ষজের প্রতি যাহারা প্রীতির অনুশীলন করেন, তাহদের সিদ্ধি প্রাপ্তি সম্বন্ধে সংশয় কি? যদি বল, ভগবানের অব্যয়তা, অপ্রমেয়ত, নিগুণতা এবং অপ্রাকৃত গুণময়ত, এইরূপ ঐশ্বৰ্য্যগত ভাবের আলোচনা না করিলে কিরূপে নিত্যমঙ্গল সম্ভব হইবে, তাহাতে আমার বক্তব্য এই যে, ভগবৎসত্তার মাধুর্য্যময় স্বরূপ ব্যক্তিই সৰ্ব্বজীবের নিতান্ত শ্রেয়োজনক। ঐশ্বৰ্য্যাদি ষড়গুণের মধ্যে ঐ অর্থাৎ ভগবৎসৌন্দৰ্য্যই সর্বশ্রেষ্ঠ অবলম্বন, ইহা শুকদেব কর্তৃক সিদ্ধান্তিত হইল। অতএব তদবলম্বী উত্তমাধিকারী বা কোমলশ্রদ্ধ উভয়েরই নিঃশ্রেয়ঃ লাভ হয় । কোমলশ্রদ্ধের সাধনবলে পাপপুণ্যাত্মক কৰ্ম্মজ গুণময় সত্তা পরিত্যাগপূর্বক উত্তমাধিকারী হইয়া ঐকৃষ্ণপ্রাপ্ত হন, কিন্তু উত্তমাধিকারীগণ উদ্দীপন উপলব্ধিমাত্রেই শ্ৰীকৃষ্ণরাসমণ্ডলে প্রবেশ করেন ।