পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/২১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা । و ه ج এতন্নিবন্ধন শ্ৰীভক্তিরসামৃতসিন্ধু গ্রন্থে ভক্তির সাধারণ লক্ষণ এইরূপ লক্ষিত হয় । অন্যাভিলাষিত শূন্যং জ্ঞানকৰ্ম্মাদ্যনাবৃতং । আনুকূল্যেন কৃষ্ণানুশীলনং ভক্তিরুত্তম ॥ উত্তম ভক্তির লক্ষণ অনুশীলন । কাহার অনুশীলন ? ব্রহ্মের, পরমায়ার বা নারায়ণের ? না ব্রহ্মের নয়, যেহেতু ব্রহ্ম নির্বির্বশেষ চিন্তার বিষয়, ভক্তি র্ত হাতে আশ্রয় পায় না | পরমাত্মারও নয়, যেহেতু ঐ তত্ত্ব যোগমার্গানুসন্ধেয়, ভক্তিমাগের বিষয় নয়। নারায়ণেরও সম্পূর্ণ নয়, যেহেতু ভক্তির সাকল্য প্রবৃত্তি নারায়ণকে আশ্রয় করিতে পারে না। জীবের ব্রহ্মজ্ঞান ও ব্রহ্মতৃষ্ণ নিবৃত্ত হইলে, প্রথমে ভগবৎজ্ঞানের উদয়কালে, শান্ত নামক একটী রসের আবির্ভাব হয়। ঐ রস নারায়ণপর । কিন্তু ঐ রসট উদাসীন ভাবাপন্ন। নারায়ণের প্রতি যখন মমতার উদয় হয়, তখন প্রভুদাস-সম্বন্ধ-বোধ হইতে একটা দাস্য নামক রসের কার্য্য হইতে থাকে। নারায়ণ তত্ত্বে ঐ রসের আর উন্নতি সম্ভব হয় না, কেননা নারায়ণস্বরূপটা সখ্য, বাৎসল্য বা মধুর রসের আম্পদ কখনই হইতে পারে না । কাহার এমত সাহস হইবে যে, নারায়ণের গলদেশ ধারণপূর্বক কহিবে যে, “সখে আমি তোমার জন্য কিছু উপহার আনিয়াছি গ্রহণ কর।” কোন জীব বা র্তাহাকে ক্রোড়ে করিয়া পুত্রস্নেহসূত্রে তাহাকে চুম্বন করিতে সক্ষম হইবে ? কেই বা কহিতে পরিবে, “ হে প্রিয়বর তুমি আমার প্রাণনাথ,