পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার । २०१ আমি তোমার পত্নী । ” মহারাজ রাজেশ্বর পরমৈশ্বৰ্য্যপতি নারায়ণ কতদূর গম্ভীর এবং ক্ষুদ্র, দীন, হীনজীব কতদূর অক্ষম । তাহার পক্ষে নারায়ণের প্রতি ভয়, সন্ত্রম ও উপাসনা পরিত্যাগ করা নিতান্ত কঠিন। কিন্তু উপাস্য পদার্থ, পরমদয়ালু ও বিলাসপরায়ণ। তিনি যখন জীবের উচ্চগতি দৃষ্টি করেন ও সখ্যাদি রসের উদয় দেখেন, তখন পরমানুগ্রহ পূর্বক ঐ সকল উচ্চ রসের বিষয়ীভূত হইয়া জীবের সহিত অপ্রাকৃত লীলায় প্রবৃত্ত হন। শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্রই ভক্তিপ্রবৃত্তির পূর্ণরূপে বিষয় হইয়াছেন। অতএব কৃষ্ণানুশীলনই উত্তম ভক্তির পূর্ণ লক্ষণ । সেই কৃষ্ণানুশীলনের স্বধৰ্ম্মোন্নতি ব্যতীত আর কোন অভিলাষ থাকিবে না । মুক্তি বা ভুক্তি বাঞ্ছার অনুশীলন হইলে কোন ক্রমেই রসের উন্নতি হয় না। অনুশীলন, স্বভাবতঃ কৰ্ম্ম বা জ্ঞানরূপী হইবে । কিন্তু কৰ্ম্মচর্চা ও জ্ঞানচর্চা ঐ চমৎকার সূক্ষ প্রবৃত্তিকে আবৃত্ত না করে। জ্ঞান তাহাকে আবৃত করিলে ব্রহ্ম-পরায়ণ করিয়া তাহার স্বরূপ লোপ করিয়া ফেলিবে । কৰ্ম্ম তাহাকে আবৃত করিলে জীবচিত্ত সামান্য স্মাৰ্ত্তগণের ন্যায় কৰ্ম্মজড় হইয়া অবশেষে শ্ৰীকৃষ্ণ-তত্ত্ব হইতে দূরীভূত হইয়া পাষণ্ড কৰ্ম্মে প্রবৃত্ত হইবে । ক্রোধাদি চেষ্টাও অনুশীলন, তত্তচেষ্টা দ্বারা কৃষ্ণানুশীলন করিলে কংসাদির ন্যায় বৈরস্য ভোগ করিতে হয়, অতএব ঐ অনুশীলন প্রাতিকুল্যরূপে मां श्ध्न | w