পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२०> শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা। " এস্থলে কেহ বিতর্ক করিতে পারেন ; যে যদি ভক্তি, কৰ্ম্ম ও জ্ঞানরূপা হয়েন তবে কৰ্ম্ম ও জ্ঞান নামই যথেষ্ট, ভক্তি বলিয়া একটী নিরর্থক আখ্যা দিবার তাৎপর্য্য কি ? এতদ্বিতর্কের মীমাংসা এই যে, কৰ্ম্ম ও জ্ঞান নামে ভক্তি তত্ত্বের তাৎপৰ্য্য ঘটে না । নিত্য, নৈমিত্তিক ও কাম্য কৰ্ম্মে একটা একটা পৃথক্ ফল আছে। জীবের স্বধৰ্ম্মপ্রাপ্তিই যে সমস্ত কৰ্ম্মের মূখ্য প্রয়োজন, তাহাতে কিছু মাত্র সন্দেহ নাই, কিন্তু সকল কৰ্ম্মেরই একটা একটী নিকটস্থ অবান্তর ফল দেখা যায়। শারীরিক কাৰ্য্য সকলের শরীর পুষ্টি ও ইন্দ্রিয়স্থখাপ্তিরূপ অবান্তর ফল কেহ অস্বীকার করিতে পারেন না। মানসিক কাৰ্য্য সকলের চিত্তস্থখ ও বুদ্ধিপ্রাখৰ্য্যরূপ নিকটস্থ ফল লক্ষিত হয়। এই সমস্ত নিকটস্থ অবান্তর ফল অতিক্রম করিয়া যিনি মুখ্য ফল পর্য্যন্ত অনুসন্ধান করিবেন, তাহার প্রবৃত্তিটা ভক্তির স্বরূপ পাইতে পারে। এতন্নিবন্ধন অবান্তর ফলযুক্ত কৰ্ম্মকে কৰ্ম্মকাণ্ড বলিয়া, মুখ্য ফলানুসন্ধায়ী কৰ্ম্মকে ভক্তিযোগের অন্তর্গত সুন্দররাপে করিবার জন্য ভক্তি ও কৰ্ম্মের বৈজ্ঞানিক বিভাগ করা হইয়াছে। তন্দ্রপ, যে জ্ঞান মুক্তিকে একমাত্র ফল বলিয়া কাৰ্য্য করে, তাহাকে জ্ঞানকাণ্ড বলিয়া, জ্ঞানের মুখ্য প্রয়োজনসাধক প্রবৃত্তিকে ভক্তিযোগের অন্তর্গত করা হইয়াছে। এতদ্ধেতুক ভক্তি ৪ জ্ঞানের বৈজ্ঞানিক বিভাগ স্বীকার না করিলে সম্যক্‌ তত্ত্ববিচার হইতে পারে না। এতদ্বিষয়ে আর একটু কথা