পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२४२ ঐকৃষ্ণসংহিতা । বিষয়া বিনিবর্তন্তে নিরাহারস্ত দেহিনঃ । রসবর্জং রসোইপ্যস্ত পরং দৃষ্ট নিবৰ্ত্ততে ॥ বিষয়গত আত্মধৰ্ম্মের পরাগস্রোত নিবৃত্তির দুই উপায়। বিষয় না পাইলে উহা কাজে কাজে নিবৃত্ত হয়, কিন্তু দেহবান অর্থাৎ মায়িক দেহযুক্ত পুরুষের পক্ষে বিষয়বিচ্ছেদ সম্ভব নয়, তজ্জন্য অন্য কোন উপায় থাকিলে তাহাই অবলম্বন করা কর্তব্য । রাগ-স্রোতকে বিষয় হইতে উদ্ধার করার আর একটা শ্রেষ্ঠ উপায় আছে। রাগ রস পাইলেই মুগ্ধ হয়। বিষয়রস অপেক্ষা কোন উৎকৃষ্ট রস তাহাকে দেখাইলে সে স্বভাবতঃ তাহাই অবলম্বন করিবে। যথা ভাগবতে — এবং নৃণাং ক্রিয়াযোগাঃ সৰ্ব্বে সংস্থতিহেতবঃ । ত এবাত্মবিনাশায় কল্পন্তে কল্পিতাঃ পরে ॥ জড়প্রবৃত্তি-জাত কৰ্ম্ম সকল জীবের বন্ধনের হেতু । কিন্তু পরতত্ত্বে তাহার কল্পিত হইলে তাহাদের জড়সত্তার নাশ হয়। এইট রাগমার্গ সাধনের মূল তত্ত্ব । রাগমার্গসাধকদিগের সমস্ত জীবনই ভগবদনুশীলন। ঐ অনু শীলন সপ্তপ্রকার যথা নিম্নে অঙ্কিত হইল;— প্রকার । বিবরণ* । , চিগত অনুশীলন। ১ প্রীতি। ২ সম্বন্ধাভিধেয় প্রয়োজনায়ু ভূতি।

  • সকলেরই উক্ত সপ্তপ্রকার অনুশীলন কর্তব্য । কিন্তু সকল প্রকার “বিবরণ" সকলের অমৃষ্ঠেয় নয়, যেহেতু তাছাতে অধিকার বিচারের প্রয়োজন আছে ।