পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার । 争》@ তিনি ভগবৎসেবাপরা । যদি কেহ তাহাতে ভগবদ্ভাবের" অপণ করিতে ইচ্ছা করেন, তিনি সাদরে তাহা গ্রহণকরতঃ ভগবদ্বিরুদ্ধভাব পরিত্যাগপূর্বক ভগবৎসাধক ভাব গ্রহণ করেন, ইহাই বৈষ্ণবধৰ্ম্মের পরম রহস্য । জীবনিচয়ের শ্ৰেয়ঃ সাধনের অত্যন্ত সহজ উপায় রূপ বৈষ্ণব সংসার ব্যবস্থা করণাভিপ্রায়ে শ্ৰীমদ্ভাগবতে নারদ গোস্বামী ব্যাসদেবকে এইরূপ সঙ্কেত প্রদান করিয়াছেন— ইদং হি বিশ্বং ভগবানিবেতরোযতো জগৎ-স্থাননিরোধসন্তবাঃ । তদ্ধি স্বয়ং বেদ ভবাংস্তথাপি তে প্রদেশমাত্ৰং ভবতঃ প্রদর্শিতং ॥ এই বিশ্বটী ভগবানের অন্যতর অবস্থান বলিয়া জান, কেননা তাহা হইতেই ইহার প্রকাশ, স্থিতি ও নিরোধ সিদ্ধ হয়। সমস্ত চিদম্বয়সম্বলিত বৈকুণ্ঠ তত্ত্বই ভগবানের নিত্যতত্ত্ব। উপস্থিত ময়িক বিশ্ব সেই বৈকুণ্ঠের প্রতিবিম্ব অর্থাৎ প্রতিফলন । ইহার সমস্ত সন্তা ও ভাব ও প্রবৃত্তি বৈকুণ্ঠের সভা, ভাব, ও প্রবৃত্তির অনুকৃতি । ইহার ভোক্তা জীবের ভগবদ্বৈমুখ্য নিষ্ঠাই ইহার হেয়ত্ব। হে বেদব্যাস ! তুমি বিশ্বস্থিত অন্বয়ভাব বর্ণন দ্বারা ভগবল্লীলা বর্ণন করিতে আশঙ্কা করিও না, যেহেতু বৈকুণ্ঠ ও বিশ্ব বর্ণন তত্ত্বতঃ একই প্রকার, কেবল নিষ্ঠাভেদে প্রাকৃত ও অপ্রাকৃত হইয়া উঠে। বিশ্ব বর্ণনে, ভগবদ্ভাবের উদ্দেশ থাকিলেই বৈকুণ্ঠরতির প্রকৃতি প্রকাশ হয়। তুমি তাহ স্বয়ং আত্মপ্রত্যয়