পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । 渗 ¥ ¢ সাবর্ণি, ধৰ্ম্মসাবর্ণি, রুদ্রসাবর্ণি, দেবসাবর্ণি ও ইন্দ্রসাবর্ণি ইহঁর কল্পিত। যদি ঐতিহাসিক হন তবে ঐ দুই শত বৎসরের মধ্যে ভারতভূমির ভিন্ন ভিন্ন খণ্ডে বাস করিয়াছিলেন বলিতে হইবে । চাক্ষুষ মনুর সময়ে সমুদ্র মন্থন হয় এরূপ কথিত আছে । বৈবস্বত মনুর সময় বামন অবতার। বলিরাজার যজ্ঞের পর ছলনার দ্বারা.অস্তুরদিগকে বহিষ্কৃত করা হয়। মনুবংশের রাজাগণ ব্ৰহ্মাবর্তের বাহিরে রাজ্য করিতেন কিন্তু প্রথমাবস্থায় রাজ্যশাসনপ্রণালী অথবা সাংসারিক বিধান সকল এবং বিদ্যার চর্চা ভাল ছিল না । সমুদ্রমন্থনকালে ধন্বন্তরির উৎপত্তি । ঐ সময়েই অশ্বিনীকুমার উৎপন্ন হন। সমুদ্রমন্থনে যে বিষের উৎপত্তি হইল তাহ রুদ্রবংশীয় শিব সংহার করিলেন । এই সকল বিবেচনা করিয়া চিকিৎসাবিদ্যার চর্চা ঐ কালে বিশেষ রূপে হইতেছিল এরূপ অনুমান করিতে হইবে । রাহুনামা অসুরকে দুই খণ্ড করিয়া রাহুকেতু রূপে সংস্থান করাও ঐ সময়ে লক্ষিত হয়। ইহাতে তৎকালে জ্যোতিষ শাস্ত্রের আলোচনা হইতেছিল এরূপ বোধ হয়। ঐ কালের মধ্যে অক্ষর স্বষ্টি হইয়াছিল এমত বোধ হয় না । তৎকালের কোন লিখিত সংবাদ না থাকায় ঐ কালট অত্যন্ত বিপুল বোধ হইত, এমত কি তাহার বহুদিবস পরে যখন কালবিভাগ-হইল, তখন এক এক মনু এক সপ্ততি মহাযুগ ভোগ করিয়াছেন এমত বর্ণিত হইয়া গেল। রাজাদিগের মধ্যে যিনি ব্যবস্থাপক হইতেন তিনিই মনু