পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা । والافقا অতিশয় নিস্তেজ হইয়া পড়েন। সূৰ্য্যবংশীয় মরুরাজা ও চন্দ্রবংশীয় দেবাপি উভয়ে রাজ্যত্যাগপূর্বক কলাপগ্রামে গমন করেন। শিল্পবিদ্যা উন্নত হয় । নগর গ্রামাদির ব্যবস্থা ক্রমশঃ উৎকৃষ্ট হইতে থাকে। পূৰ্ব্ব-ব্যবহৃত আৰ্য্যাক্ষর ক্রমশঃ সংস্কৃত হইয়া উঠে। অনাৰ্য্য ভূমির অনেক স্থানে তীর্থ সংস্থাপন হয় । হস্তিরাজ কর্তৃক গঙ্গাতীরে হস্তিনাপুরা নিৰ্ম্মিত হয় * । কুরুরাজা কর্তৃক ব্রহ্মর্নিদেশে দেবরাজ্যের অনুমোদন ক্রমে কুরুক্ষেত্র তীর্থ সংস্থাপিত হয় | কুরু পাণ্ডবের যুদ্ধটা একটা প্রধান ঘটনা বলিতে হইবে ; যেহেতু ঐ যুদ্ধে ভারতবর্ষের অনেকানেক রাজা একত্রিত হইয়া তুঘল সমরে স্বৰ্গারোহণ করেন । ঐ ঘটনার সমস্ত বৃত্তান্ত ভারতবাসীদিগের দৈনিক আলোচনা ; অতএব তাহার বিশেষ বর্ণন এখানে প্রয়োজন নাই । কেবল বক্তব্য এই যে, ঐ যুদ্ধের কিয়ংকাল পূৰ্ব্বই মাগধরাজা জরাসন্ধ ভীম কর্তৃক হত হন। মাগধরাজ্য ক্রমশঃ প্রতাপোন্মখ ছিল এমত কি হস্তিনার সম্মান দুরীভূত করিয়া মগধের সম্মান স্থাপন করিবার জন্য জরাসন্ধের বিশেষ যত্ব ছিল । কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পর যদিও পরীক্ষিতের বংশে অনেক দিবস পর্য্যন্ত রাজাগণ গাঙ্গ ও ঘামুন প্রদেশ ভোগ করিয়াছিলেন, তথাপি তৎকালের সাম্রাজ্য মাগধরাজার হস্তে

  • অদ্যাপি বঃ পুরং হোতৎ gচয়দ্রীম বিক্রমং । সমুন্নতং দক্ষিণতে গঙ্গীয়াং নম্ন দৃশ্যতে ॥ ভাগবতং ।