পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা 8O ’নাম গ্রহণ করেন, এবং সম্বৎনামা অব্দ প্রচার করেন। এই আখ্যায়িকা বিশ্বাস করা কঠিন, যেহেতু পৌরাণিক লেখকেরা সম্বদাব্দের ৫০০ বৎসর পর্য্যন্ত রাজাদিগের নাম উল্লেখ করিয়াও বিক্রমাদিত্যের নাম উল্লেখ করেন নাই। বাস্তবিক ঐ সময়ে ক্ষত্ৰকুলোদ্ভব উজ্জয়িনীপতি বিক্রমাদিত্য রাজ্যভোগ করিলে পুরাণকৰ্ত্তারা অবশ্যই তাহার মহাত্ম্য কীৰ্ত্তন করিতেন। এতদ্বারা অনুমিত হয়, যে বিক্রমাদিত্য নামধেয় অনেক সময়ে অনেক রাজা রাজ্য করিয়াছেন। যে বিক্রমাদিত্য উজ্জয়িনীতে শাসন করেন তিনি ৫৯২ খ্রীস্টাব্দে রাজা হন । খ্ৰীষ্টাব্দের প্রথম শতাদিতে একজন বিক্রমাদিত্য শ্রাবস্তীনগরে বৌদ্ধদিগের শত্র হইয়া উঠিয়াছিলেন । শালিবাহন রাজা দাক্ষিণাত্যদেশে বিশেষ মান্য ছিলেন এবং তাহার প্রচারিত শকাব্দ দক্ষিণদেশে সৰ্ব্বত্র মানিত হয়। কথিত আছে যে, খ্ৰীষ্টাব্দের ৭৮ বৎসরে শালিবাহন রাজা শকদিগকে নির্যাতন করিয়া শালিবাহনপুর নামে নগর পঞ্জাব দেশে স্থাপন করেন। পুনশ্চ নৰ্ম্মদাকুলে পাঠননামা নগরে শালিবাহনের রাজধানী থাকা অন্যত্র প্রকাশ আছে। অতএব এই দুই রাজার বাস্তবিক জীবনচরিত্র এপর্য্যন্ত অপরিজ্ঞাত আছে । পরীক্ষিত হইতে ৬ পুরুষে নিমিচক্র। তিনি গঙ্গাগত হস্তিনাপুর ত্যাগ করিয়া কুশম্বী বা কৌশিকীপুরিতে বাস করেন। তাহার ২২ পুরুষে ক্ষেমক রাজা পৰ্য্যন্ত পাণ্ডুবংশ জীবিত ছিল ।