পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপক্রমণিকা । @@ 'ব্রাহ্মণদিগের সহিত তর্কযুদ্ধে প্রবৃত্ত হইল । তখন ব্রাহ্মণের প্রথমে ন্যায়, পরে সাংখ্য ইত্যাদি ক্রমান্বয়ে ছয়টা বিচারশাস্ত্র উদ্ভাবন করিয়া সূত্ররূপে গ্রন্থ রচনা পূর্বক স্বশিষ্যেতর কাহারও হস্তে না পড়ে এরূপ যত্ন করিয়াছিলেন । রামচন্দ্রের সময় হইতে আম্বিক্ষিকী বিদ্যারূপ কোন বৈদিক ন্যায় তাৎকালিক গোতম ঋষি কর্তৃক রচিত হইয়া প্রচলিত ছিল। কিন্তু আবশুক মতে ঐ সামান্য গ্রন্থের স্থলে ব্রাহ্মণেরা গোতমের নামে বর্তমান অক্ষপাদ শাস্ত্রের রচনা করেন। সৌগতমত নিরসনার্থে গোতমসূত্রে বিশেষ যত্ন দেখা যায় * । কানাদশাস্ত্র ন্যায়শাস্ত্রের অনুগত । সাংখ্যশাস্ত্রেও বৌদ্ধদিগের বিরুদ্ধ অনেক সিদ্ধান্ত দেখা যায় ৷ পাতঞ্জল মতটী সাংখ্যের অনুগত। জৈমিনীকৃত মীমাংসা বৌদ্ধ নিরস্ত কৰ্ম্মকাণ্ডের পক্ষ সাধন মাত্র । বেদান্ত শাস্ত্র যদিও সকলের কনিষ্ঠ, তথাপি ইহার মূল উপনিষৎ বলিয়া স্থিরীকৃত হওয়ায় পূর্বোল্লিখিত আম্বিক্ষিকী বিদ্যারই রূপান্তর বলিয়া প্রতিপাদিত হইয়াছে। অতএব দর্শনশাস্ত্র সমুদায়ই খ্ৰীষ্টের ৪০০ বৎসর পূর্ব হইতে খ্ৰীষ্টের ৪০০ বৎসর পর পর্য্যন্ত এই ৮০০ বৎসরের মধ্যে রচিত হইয়াছে । পুরাণ সকল দর্শনশাস্ত্রের পরে রচিত হয়। বৃহদারণ্যক শ্রুতি ও মহাভারতে যে পুরাণ সকলের উল্লেখ

  • নেৎপত্তি বিনাশ কারণোপলন্ধেঃ । ন পয়সঃ পরিণাম গুণান্তর প্রাছক্টtথাৎ --গেতিময়ত্ৰং ।