পাতা:শ্রীগৌর-উপদেশামৃত (প্রথম খণ্ড) -মধুসূদন দাস অধিকারী.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিলক-ধারণ-বিধি । যজ্ঞে দানং তপো হোমঃ স্বাধায়ঃ পিতৃতৰ্পণং। ব্যৰ্থং ভবতি তৎসৰ্ব্ব মুদ্ধ পুণ্ডং বিনা কৃতং।। পাঘে। অর্থাৎ যজ্ঞ, দান, তপস্যা, হোম, বেদাধ্যয়ন ও পিতৃতৰ্পণ প্ৰভৃতি যে কোন কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করা যায় তাহ ব্যর্থ হইয়া থাকে। আবার উদ্ধ পুণ্ডধারণ না করিয়া যে ব্যক্তি সন্ধ্য-বন্দনাদি করে, তাহার সে কৰ্ম্ম রাক্ষসের জন্য হয় এবং সে ব্যক্তি নরকগমন করিয়া থাকে। যথা উদ্ধাপুণ্ডৈ, বিহীনস্তু সন্ধ্যাকৰ্ম্মাদিকং চরেৎ। তৎসৰ্ব্বং রাক্ষসং নিত্যং নরকং চাধিগচ্ছতি | পদ্মপুৱাণ । এইজন্যই আমাদের দয়াল প্ৰভু শিষ্যকে বলিলেন যে, “যাহার কপালে তিলক না থাকে, তাহার সে কপাল শ্মশান সদৃশ ।” শ্ৰীনারদও বলিয়াছেন,- যচ্ছরীরং মনুষ্যাণামুৰ্দ্ধপুণ্ডং বিনা কৃতং।। দ্রষ্টব্যং নৈব তত্তাবৎ শ্মশান সদৃশং ভবেৎ। পদ্মপুরাণ। অর্থাৎ যাহার ললাটে উৰ্দ্ধপুণ্ড, শোভিত না থাকে, তাহার দেহ শ্মশান সদৃশ, তাহাকে দর্শন করা। কৰ্ত্তব্য নহে। তাই প্ৰভু কহিলেন, “ভাই! তোমার কপালে তিলক দেখিতেছি না কেন ? কি উদ্দেশ্যে তুমি তিলক ধারণ করা নাই, প্ৰকাশ করিয়া বল ? যে ব্ৰাহ্মণের ললাট-দেশে তিলক না থাকে, তাহার সে ললাট তো শ্মশানের ন্যায় ! তাহাকে স্পর্শ করা দুরে থাক, দর্শন করাও উচিত নহে। তাহাকে দেখিলে সূৰ্য্যদর্শন করিয়া পবিত্ৰ হইতে হয়।” সুতরাং,- বৈষ্ণবানাং ব্ৰাহ্মণীনাং উৰ্দ্ধপুণ্ডং বিধীয়তে। ” অন্যেষান্তু ত্রিপুণ্ডং স্যাদিতি ব্ৰহ্মবিদো বিদ্যুঃ ॥ বৈষ্ণব ও ব্ৰাহ্মণগণ অবশ্য উৰ্দ্ধপুণ্ড, ধারণ করিবেন। কেবল অবৈষ্ণৰ শূদ্রগণই ত্রিপুণ্ড, ধারণ করিবে, দেবজ্ঞ পণ্ডিতগণের ইহাই মত। উৰ্দ্ধপুণ্ডের মাহাত্ম্য শ্ৰীহরিভক্তিবিলাসের ৪র্থ, বিলাসে যথেষ্ট কীৰ্ত্তিত আছে। বাহুল্যবোধে উদ্ধত হইল না। এক্ষণে উৰ্দ্ধপুণ্ডের নিৰ্ম্মাণ-বিধি, কথিত হইতেছে। যথা,- বীক্ষ্যাদর্শে জলে বাপি যো বিদধ্যাঃ প্ৰযত্নতঃ।। উৰ্দ্ধপুণ্ডং মহাভাগ স যাতি পরমাং গতিং।। ব্ৰহ্মাণ্ডপুরাণ। হে মহাভাগ! দৰ্পণে কিম্বা জলে প্ৰতিবিম্ব দেখিয়া যে ব্যক্তি যত্নসহকারে উৰ্দ্ধপুঞ্জ, রচনা করেন, তিনি পরম শ্বতি প্রাপ্ত হন। উদ্ধপুঞ্জ, স্ত্রীলোকেরা}