পাতা:শ্রীগৌর-উপদেশামৃত (প্রথম খণ্ড) -মধুসূদন দাস অধিকারী.pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রভুর জন্য ভক্তগণের প্রার্থনা। ማን গদাধর প্রভুর সহিত তৰ্কযুদ্ধে হারিলেন । হারিয়া মনে মনে ভাবিলেন , “আজি বৰ্ত্তি পলাইলে” অর্থাৎ আজ একবার পলাইতে পারিলে বাচি । তখন ভক্তের মনোভাব অবগত হইয়া প্ৰভু বলিলেন -

  • --গদাধর। আজি যাহ ঘর ।

২ কালি বুঝিয়াঙ তুমি আসিহ সত্বর ॥” চৈঃ ভাঃ।। ২২৷৷ ' ' 'शंग्रांद्र नश्ट्रांड्र कब्रिज्ञा शांप्र्ी फनिशा ८शंग्रजन । * প্ৰতিদিন সন্ধ্যাকালে শ্ৰীনিমাই শিষ্যগণ সঙ্গে জাহ্নবীর পবিত্ৰ পুলিনে বসিয়া ব্যাখ্যা করেন । শ্ৰীনবদ্বীপের ভাগবতগণও সন্ধ্যা হইলে গঙ্গাতীরে আসিয়া পরস্পর কৃষ্ণকথা-প্রসঙ্গে আনন্দোপভোগ করেন। তাহারা দূর হইতে শ্ৰীনিমাই পণ্ডিতের ব্যাখ্যা শুনিয়া হৰ্ষ-বিষাদ ভাবিতে লাগিলেন। হর্ষশ্ৰীনিমাই এত অল্পবয়সে অদ্বিতীয় পণ্ডিত। বিষাদ - তিনি কৃষ্ণভজন করেন না । তাহারা স্নেহ-পরবশ হইয়া প্ৰতিদিনই কায়মনোবাক্যে শ্ৰীভগবানের নিকট প্রার্থনা করিতেন “হেন করা কৃষ্ণ ! জগন্নাথের নন্দন । তোর রসে মত্ত হউ ছাড়ি অন্যমন৷ নিরবধি প্ৰেমভাবে ভজুক তোমারে । হেন সঙ্গ কৃষ্ণ ! দেহ আমা সভাকারে ॥” চৈঃ ভাঃ । শ্ৰীগৌরাঙ্গ অন্তৰ্য্যামী, ভক্তের অভিপ্ৰায় অবগত হইয়া তিনি সেই হইতে শ্ৰীবাস্যাদি কৃষ্ণভক্তগণকে দেখিলেই সাষ্ঠাঙ্গে প্ৰণাম করিতেন। এবং ভক্তের আশীৰ্বাদ শিরোধাৰ্য্য করিতেন । কেননা, “ভক্ত আশীৰ্ব্বাদে সে কৃষ্ণেতে ভক্তি হয় ।” কোন কোন ভক্ত সাক্ষাতেই প্রভুকে কহিতেন—“পণ্ডিত ! কেবল বিদ্যাচৰ্য্যা করিয়া বৃথা কালযাপন করিতেছ কেন ? কৃষ্ণভক্তি জানিবার জন্যই লোকে লেখা পড়া শিখে । সে যদি না হইল। তবে বিদ্যায় কাব্য কি ?” ভক্ত ভগবানের মধ্যে এ লীলা অদ্ভুত বটে। ভক্তগণ র্যাহাকে কৃষ্ণ ভজিতে উপদেশ দিতেছেন, তিনিই যে স্বয়ং শ্ৰীকৃষ্ণ –তিনিই যে জগতে কৃষ্ণভক্তির উদাম-প্রবাহ প্ৰবাহিত করিবার জন্য ধরামাঝে অবতীর্ণ র্তাহারা প্রভুর মায়ায় তাহা জানিতে পারিতেন না। প্ৰভু বিনয়পূৰ্ণবাক্যে সহস্যে छेख्द्र कब्रिgख्ठन -“বড়ভাগ্য সে আমার। তোমরা শিখাও মোরে কৃষ্ণভক্তি সার।