পাতা:শ্রীগৌর-উপদেশামৃত (প্রথম খণ্ড) -মধুসূদন দাস অধিকারী.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীগৌর উপদেশামুত । ዓ\g} প্ৰভু দুইবার “মুঞি” শব্দের উল্লেখ করিলেন। পরস্তু অজ্ঞলোকদিগকে যুঝাইবার নিমিত্তই তৃতীয়বার “মুঞি সেই” বলিয়া ত্রিসত্য করিলেন। আবার তিনিই যে ব্ৰহ্মা, আত্মা, ভগবান এই তিন তত্ত্ব, তাহাও এতদ্বারা বুঝাইলেন। ভগবদ্ভক্তগণ যাহাকে ষড়ৈশ্বৰ্য্যপূর্ণ শ্ৰীভগবান বলেন, “মুঞি সৰ্ব্বলোকেশ্বর” বাক্যে শ্ৰীগৌরাঙ্গই যে সেই পূর্ণতত্ত্ব শ্ৰীভগবান তাহা স্পষ্ট বিঘোষিত হইয়াছে । তাই শ্ৰীপাদ কবিরাজ গোস্বামী বলিয়াছেন,~— “স্বয়ং ভগবান কৃষ্ণ, কৃষ্ণ পর্যতত্ত্ব । পূর্ণানন্দ পুর্ণজ্ঞান পরম মহত্ত্ব ৷ নন্দসুত বলি র্যারে ভাগবতে গাই । সেই কৃষ্ণ অবতীর্ণ চৈতন্যগোসাঞি { প্ৰকাশ বিশেষে তিহো ধরে তিন নাম । ব্ৰহ্ম পরমাত্মা আর পূর্ণভগবান ॥”-চৈঃ চিঃ। অতএব যোগীগণ যাহাকে পরমাত্মা বলিয়া নির্দেশ করেন, সেই পরমাত্মাও যে শ্ৰীগৌরাঙ্গের অংশ তাহা “মুঞি বিশ্বধরে মোর নাম বিশ্বম্ভর” বাক্যে পরিব্যক্ত হইয়াছে। প্ৰভু যে স্বীয় অংশ বিভূতি দ্বারা অর্থাৎ পরমাত্মারূপে জগৎ ধারণ করিয়া আছেন, তাহা এই শ্ৰীগীতা প্রমাণে সমৰ্থিত হইয়াছে। ቕጝÍ অথবা বহুনৈতেন কিং জ্ঞাতেন তবাৰ্জুন । বিষ্টভ্যাহমিদং কৃৎম মেকাংশেন স্থিতো জগৎ ৷ অর্থাৎ হে অৰ্জ্জুন ! তোমার এ সকল বহুবিষয় জানিবার প্রয়োজন কি ? আমিই একাংশ দ্বারা অর্থাৎ অন্তৰ্য্যামী পুরুষরূপে সমস্ত জগৎ ধারণ করিয়া আবার ব্ৰহ্মবাদীরা “সোহহং” বলিয়া যে জ্যোতিৰ্ম্ময় ব্রহ্মের নির্দেশ করেন, সেই ব্ৰহ্মও যে শ্ৰীগৌরাঙ্গের অঙ্গকান্তি তাহা “মুঞি সেই” বাক্যে স্পষ্টীকৃত হইয়াছে। ফলতঃ যে অদ্বয়তত্ত্ব প্ৰকাশভেদে ব্ৰহ্ম, আত্মা, ভগবান এই ত্ৰিবিধ নামে অভিহিত, সেই সচ্চিদানন্দময় মূৰ্ত্তিই যে তিনি স্বয়ং সুপ্রকট, তাহ প্ৰভু আপন শ্ৰীমুখে জগতের কৰ্ণে ঘোষণা করিলেন ; কিন্তু মায়ামুগ্ধ জীব তাহা বুঝিতে পারিল না। ;-ভাবিল, প্ৰভু ভূতাবিষ্ট হইয়াছেন। তার পর। প্ৰভু স্ব-ইচ্ছায় সে ভাব সম্বরণ করিয়া প্ৰকৃতিস্থ হইলেন । প্ৰভু একদিন দ্রব্য কিনিবার ছলে নাগরিকগণকে কৃতাৰ্থ করিবার নিমিত্ত