পাতা:শ্রীগৌর-উপদেশামৃত (প্রথম খণ্ড) -মধুসূদন দাস অধিকারী.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

もrbr দুঃখ না পাইবে বিপ্ৰ গৰ্ব হৈবে ক্ষয় । বিরলে সে করিবাঙ দিগ্বিজয়ী জয় ৷ চৈঃ ভাঃ ৷৷ ৩৯ ৷৷ প্ৰভু মান্যমানকৃৎ । মাননীয় জনের গৌরব তিনি সাদরে রক্ষা করেন। প্রকাশ্য সভামধ্যে দিগ্বিজয়ীকে পরাজয় করিলে সৰ্ব্বজন সমক্ষে দিগ্বিজয়ী বড়ই অপদস্থ হইবেন। এই জন্য প্ৰকারান্তরে তঁহার দর্পচূৰ্ণ করিবার মনস্থ করি।-- লেন। প্রভূর ইচ্ছাশক্তি প্রভাবে দিগ্বিজয়ী তখনই সেইপথে আকৃষ্ট হইলেন। সশিষ্য কেশব সেই পবিত্ৰ জাকুৰী-পুলিন পথে যাইতে যাইতে দেখিলেন, সম্মুখে এক চাদের হাট । গগন-চাদ ভ্ৰমে উৰ্দ্ধে চাহিলেন, দেখিলেন, এ গগন-চাদ নহে-এ নদীয়ার আনন্দ-চাদ ! ! এ চাদের সহিত গগন-চাদের তুলনাই হইতে পারে না । গগন-চাদ সকলঙ্ক, তাহার কলারও ক্ষয়বৃদ্ধি আছে, এ যে কলা কলঙ্ক বিরহিত কোটী কোটী চাদের মাধুৰ্য্য-মথিত মধুর মূৰ্ত্তি! মণ্ডলে মণ্ডলে শিষ্যগণ প্রভুকে বেষ্টন করিয়া বসিয়াছেন। দিগ্বিজয়ী সে অপূৰ্ব্ব শোভাসম্ভার দেখিয়া অতীব বিস্মিত হইলেন । শিষ্যস্থানে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলেন, ইনিই নিমাই পণ্ডিত। তখন দিগ্বিজয়ী গঙ্গাকে নমস্কার করিয়া প্রভুর সভায় প্রবেশ করিলেন। পরিচয় পাইয়া প্ৰভু মহা সমাদরে তঁহার অভ্যর্থনা করিয়া বসাইলেন । অন্যান্য কথাবাৰ্ত্তার পর দিগ্বিজয়ী প্ৰভুকে বালকবোধে অবজ্ঞা করিয়া কহিলেন, “নিমাই পণ্ডিত ! তুমি ব্যাকরণ পড়াইলেও তোমার D BiSuLL0B DD ODBDS LBBDuD SS প্ৰভু তখন বিনীতভাবে উত্তর করিলেন,- “-ব্যাকরণ পড়াই অভিমান করি । শিষ্যেও না বুঝে, আমি বুঝাইতে নারি ॥ কাহা তুমি সৰ্বশাস্ত্রে কবিত্বে প্ৰবীণ । কাহা আমি সব শিশু পড়য়ে নবীন ৷ 5: 5; l8 ૦ | আমি ব্যাকরণ পড়াই বটে, কিন্তু আমিও বুঝাইতে পারি না এবং আমার শিষ্যরাও বুঝে না। কোথায় আপনি সর্বশাস্ত্ৰ কবিত্বে প্ৰবীণ দিগ্বিজয়ী পণ্ডিত আর কোথায় আমি শিশু পড়ুয়া।” সে যাহা হউক— তোমার কবিত্ব কিছু শুনিতে হয় মন । কৃপা করি করা যদি গঙ্গার বর্ণন ।। চৈঃ চিঃ ॥