পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( >8 ) (১০) সৰ্ব্বোপকারক, (১১) শাস্ত, (১২) কৃষ্ণৈকশরণ। (১৩) অকাম, (১৪) নিরীহ, (১৫) স্থির, (১৬) বিজিত-ষড় গুণ ॥ (১৭) মিতভুক্, (১৮) অপ্রমত্ত, (১৯) মানদ, (২) অমানী। (২১) গম্ভীর, (২২) করুণ, (২৩) মৈত্র, (২৪) কবি, (২৫) দক্ষ, (২৬) মৌনী ॥ কৃষ্ণুভক্তের এই সমস্ত গুণই আমরা ঠাকুরের শুদ্ধভক্তিময় জীবনে পরিপূর্ণরূপে প্রস্ফুটিত দেখিতে পাই । কৃপালু দয়ানিধি গৌরহরি বদ্ধজীবকে নববিধভাবে অমনোদয়া কৃপা প্রদর্শন করিয়াছেন। তদীয় প্রেষ্ঠ নিজজন ঐল ভক্তিবিনোদ ঠাকুরমহাশয়েও তাদৃশ দয়া-বিতরণের কার্য্য দেখা যায়। (১) তিনি বদ্ধজীবের অন্তাভিলাষ, কৰ্ম্ম ও জ্ঞানের আবরণত্রেয়ক্কপ ধূলি উড়াইয়া দিয়া বহু জীবের মলিনচিত্ত পরিমার্জিত করিয়া নিৰ্ম্মল ভগবদবসতিস্থল করিয়াছেন । (২) ভাগবত-কণিত “অস্তীতি নান্তীতি ভিদাত্মনিষ্ঠ” শাস্ত্রসমূহের ও তাহাদের অমুগত লোকগণের বৃথা প্রজল্প ও বিবাদ প্রশমিত করিয়৷ তিনি জৈবধৰ্ম্ম, শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা, শ্রীচৈতন্ত্যশিক্ষামৃত, তত্ত্বস্বত্র, অামায়স্বত্র, দশমুল প্রভৃতি গ্রন্থে ‘নিগমকল্পতরুর গলিত ফলে’র নির্য্যাস বিতরণ করিয়া সারগ্রাহী সুধীসমাজের প্রতি অশেষ কৃপা করিয়াছেন। (৩) ঐহিক ও পারমার্থিক চেষ্টা—পরস্পর পৃথক্ এবং পরমার্থ লাভ করিতে হইলে ভক্তি ব্যতীত অন্ত সমস্ত পন্থ পরিত্যাগ কর, তাহাতেই আত্মা সুপ্রসন্ন হইবে, ইহাই ছিল ঠাকুরের অপার-কৃপোখিত বাণী। (৪) স্থল ও স্বক্ষ-শরীররূপ উপাধিদ্বয় ও তজ্জনিত ইন্দ্রিয়তপণেচ্ছারূপ মল দূরীভূত করিয়| একমাত্র হৃষীকেশ-সেবন-তৎপর হটলেই জীবাত্মা নিৰ্ম্মল হন,—ইহাই কৃপাময় ঠাকুর সকল সময়ে গাছিয়াছেন। (৫) সাধুকে অসাধুজ্ঞানে বা উপেক্ষ-মূলে সাধুজনসঙ্গত্যাগন্ধপ নির্জন