পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৭ ) নির্দোষ—ঠাকুর প্রাতঃস্মরণীয় আদর্শ পুণ্যশ্লোক ছিলেন। কলির স্থানপঞ্চকের দুর্গন্ধ কোনদিনই তাহার চির-নিৰ্ম্মল চরিত্রকে কলুষিত করিতে পারে নাই । জীবনে কোনদিনই তিনি কাহারও নিকট এক কপর্দক ও ঋণী ছিলেন না বা শত শত দুৰ্ব্বার প্রলোভনেও উৎকোচ গ্রহণপূর্বক স্বীয় স্বাতন্ত্র্য বিসর্জন দেন নাই অথবা কখনও কোন পাপের বা দুনীতির প্রশ্রয় দেন নাই। পরলোকগত নটবিদ্যাকুশল ঘোষ মহাশয় নিজরচিত “চৈতন্ত লীলা’-নাটকের প্রথম অধিবেশন-দিবসে তাহাকে সভাপতি-পদে বরণ করিবার জন্য সম্মতি গ্রহণ করিতে আসিলে তিনি উহাতে অস্বীকৃত হইয়া জগৎকে প্রাকৃত-সহজিয়া-ধৰ্ম্ম এবং শুদ্ধভক্তির অশেষ পার্থক্য দেখাইয়াছিলেন । বদান্ত—তিনি কৃষ্ণপ্রেমপ্রদাতা মহাবদান্ত শ্ৰীগৌরহরির মনোহভীষ্টের প্রচারকবর ছিলেন । ঐগেীরসুন্দরের অনুসরণে তিনিও আজীবন শুদ্ধভক্তির আচরণ ও প্রচার করিয়া স্বীয় বদান্ত নাম সার্থক করিয়াছিলেন । ঐল ঠাকুর নরোত্তম, খ্ৰীনিবাস ও শুiমানন্দ এবং তৎপর ক্রমদ্বিশ্বনাথ চক্ৰবৰ্ত্তী ও বলদেব-বিদ্যাভূষণ-প্রভূগণের পর শ্ৰীগৌরমুন্দরের আচরিত ও প্রচারিত জীবাত্মার নিত্য সনাতনধৰ্ম্ম যখন আচ্ছাদিত হইয়া পড়িয়াছিল, জীব-হৃদয়ে কল্মষকৈতব-তমোজাল যখন বিস্তৃত হইয়া পড়িয়াছিল, ধৰ্ম্মের নামে অধৰ্ম্ম, বিধৰ্ম্ম, অপধৰ্ম্ম বা উদ্ধৰ্ম্মের কুঙ্কটিকা যখন শুদ্ধভক্ত্যাকাশ আচ্ছাদিত কলিয়াছিল, তখন সেই কুহেলিকা ও দারুণ-সংশয়-তিমিরাচ্ছন্ন মুগুজীবকুলের সম্মুখে জলস্ত-ভাস্করের স্তায় কোন মহাপুরুষ আবিভূত হইয়া কৃষ্ণের নিৰ্ম্মল কীৰ্ত্তন-রশ্মি-সাহায্যে তাহাদের অজ্ঞানতমঃ দূর করিয়া তাহাদিগকে মোহনিদ্রা হইতে জাগ্রত ও প্রবুদ্ধ করিয়াছিল ? তিনি—এই শ্ৰীমদ্ভক্তিবিনোদ ঠাকুর। মৃঙ্ক-একদিকে যেমন ঠাকুর-মহাশয় সভ্যপ্রকাশ-ব্যাপারে বঞ্জাপি ३