পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] নিত্যধৰ্ম্ম, জড়বিজ্ঞান ও সভ্যতা ᎼᏔ%☾ অ। পূৰ্ব্বকৰ্ম্মজনিত সংস্কার হইতে প্রবৃত্তি হইয়া উঠে। যাহাদের জড়সম্বন্ধ যতদূর গাঢ়, তাহারা ততদূর জড়ঙ্গানে ও জড়ঞ্জানপ্রস্থত শিল্পাদিকার্য্যে নিপুণ ; তাহারা যাহা প্রস্তুত কবে, তাহ বৈষ্ণবদের কৃষ্ণসেবোপকবণে উপকার কবে ; সে বিষয়ে বৈষ্ণবদিগের চেষ্টার প্রয়োজন থাকে না । দেখ, স্বত্রধরেরা আপন আপন অথোপার্জনের জন্য বিমান প্রস্তুত করে ; গৃহস্থ বৈষ্ণবগণ সেই বিমানের উপর ঐবিগ্রহ স্থাপন করেন। মধুমক্ষিকাগণ আপন প্রবৃত্তি অনুসারে মধু সংগ্রহ করে, ভক্তগণ দেশ-সেবার সেই মধু গ্রহণ করিয়া থাকেন। জগতে পরমার্থের জন্তই যে, সকল লোকে চেষ্টা করে, তাহ নয় ; নানাপ্রবৃত্তি হইতে কাৰ্য্য হয়। মানবগণের প্রবৃত্তি উচ্চ-নীচ-অনুসারে বহুবিধ ; নীচ মানবগণ নীচপ্রবৃত্তির দ্বারা অনেক কাৰ্য্য করে ; ঐ সমস্ত কাৰ্য্য উচ্চপ্রবৃত্তির কার্যের সহকারী হয়। এইরূপ বিভাগদ্বারা জগচ্চক্ৰ চলিতেছে। যত প্রকার জড়াশ্রিত ব্যক্তি আছে, তাহারা জড় প্রবৃত্তিক্রমে কাৰ্য্য করিয়াও, বৈষ্ণবের চিৎপ্রবৃত্তির সহকারী হয় ; তাহারা জানে না যে, তাহারা ঐসকল কাৰ্য্যদ্বারা বৈষ্ণবের উপকার করিবে ; কিন্তু বিষ্ণুমায়াদ্বারা মোহিত হইয়া তাহারা ঐ সমস্ত কাৰ্য্য করে ; সুতরাং সমস্ত জগৎই বৈষ্ণবদিগের অপরিজ্ঞাত কিঙ্কর। দি । বিষ্ণুমায়া কাহাকে বলে ? অ। মার্কণ্ডেয় পুরাণের অন্তর্গত চওঁীমাহাষ্ম্যে “যোগমায়া হরেঃ শক্তিযয়া সম্মোহিতং জগৎ” ইত্যাদি বাক্যের যাহার সম্বন্ধে প্রয়োগ আছে, তিনিই বিষ্ণুমায়া। দি। আমি যাহাকে মা নিস্তারিণী বলিয়া জানি, তিনি কে ? অ । তিনিই বিষ্ণুমায়া। দি। (তন্ত্রপথি খুলিয়া )। এই দেখ, আমার মা চৈতন্তরূপিণী, ইচ্ছাময়ী, ত্রিগুণাতীত ও ত্রিগুণধারিণী বলিয়া উক্ত হইয়াছেন। তোমার