পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] নিত্যধৰ্ম্ম, জড়বিজ্ঞান ও সভ্যতা Ֆ ՆԳ ‘মায়া’ ইত্যাদি নামে উক্তি করিয়াছেন ; রূপকভাবে সেই শক্তির বিধিহরি-হর-জননীৰ্ত্ত ও শুম্ভ-নিশুম্ভ-নাশকত্ব প্রভৃতি অনেক ক্রিয়া বর্ণিত আছে। যে পৰ্য্যন্ত জীব বিষয়মগ্ন থাকে, সেই পৰ্য্যন্ত সেই শক্তির অধীন ; জীবের শুদ্ধজ্ঞানের উদয় হইলে নিজের স্বরূপবোধসহকারে, সেই শক্তির পাশ হইতে মুক্ত হয় এবং জীব তখন চিচ্ছক্তির অধীন থাকিয়া চিৎসুখ লাভ করেন । দি। তোমবা কোন শক্তির অধীন কিনা ? অ ! হা, আমরা জীবশক্তি—মায়াশক্তির পাশ ছাড়িয়া চিচ্ছক্তির অধীন আছি । দি । তবে তোমরা ও শাক্ত ? অ ! হা, বৈষ্ণবগণ প্রকৃত শাক্ত—আমরা চিচ্ছক্তিস্বরূপিণী শ্রীরাধিকার অধীন ; তাহার আশ্রয়েই আমাদের কৃষ্ণ-ভজন, সুতরাং আমাদের তুল্য আর শাক্ত কে আছে ? শাক্ত-বৈষ্ণবে আমরা কোন ভেদ দেখি না। চিচ্ছক্তিকে আশ্রয় না করিয়া কেবল মায়া-শক্তিতে র্যাহাদের রতি, র্তাহারা শাক্ত হইয়াও বৈষ্ণব নগেন, অর্থাৎ কেবল বিষয়ী। ঐনারদপঞ্চরাত্রে শ্ৰীদুৰ্গাদেবী বলিয়াছেন—তব বক্ষসি রাধাহহং রাসে বুন্দাবনে বনে ? (১) দুর্গাদেবীর বাক্যে বেশ জানা যায় যে, শক্তি দুই ন’ন— একই শক্তি চিৎস্বরূপে রাধিকা ও জড়স্বৰূপে জড়শক্তি। বিষ্ণুমায়। নিগুণ-অবস্থায় চিচ্ছক্তি ও সগুণ-অবস্থায় জড়শক্তি । দি। তুমি কহিয়াছ যে, তুমি জীবশক্তি, সে কি প্রকার ? অ ! গীতায় ভগবান বলিয়াছেন ( ৭৪৫ )— (১) বৃন্দাবনধামে আমি চিৎস্বরূপে অন্তরঙ্গাশক্তি প্রীরাধিকারূপে তোমার ৰক্ষ বিলাসিনী ।