পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] নিত্যধৰ্ম্ম ও সাধন ミ>ーの স্কুল ; পর-পরলোকে ইন্দ্ৰিয়সকল ও তাছাদের বিষঘ ক্রমশঃ সুক্ষ্ম, এইমাত্র ভেদ ; কিন্তু সমস্তই ইন্দ্রিযসুগ ; ইন্দ্রযমুখ বষ্ট অব কিছুই নয়। ঐ সমস্ত লোকে চিংমুখ নাই ; চিদাভাস যে মনোরূপ লিঙ্গশবীর, তদগত সুখই তথায় বৰ্ত্তমান । এই সব সুখভোগেব নাম ‘ভুক্তি’ । কন্মচক্রগত জীবগণ ভুক্তিব আশায় ভুক্তিসাধক যে কম্মের আশ্রম কবেন, তাহাকে তঁাচার ‘সাপন বলেন। “স্বৰ্গকামোহশ্বমেধং যজেত” (যজুঃ ২৫৫) (১) অগ্নিষ্ট্রোম, বিশ্বদেববলি, ইষ্টাপুল্ট, দশপৌর্ণমালী ইত্যাদি বহুবিধ ভুক্তিসাধন শাস্ত্রে নিৰ্ণীত হষ্টয়াছে। ভোগপ্রবৃত্ত পুবষদিগের ভুক্তিই সাধ্য। আবার কতকগুলি লোক এই সংসার-ক্লেশে জালাতন হইয। প্রাপঞ্চিক ভোগায়তনকণ চতুদশ লোককে তুচ্ছ জানিযা কৰ্ম্মচক্র হইতে বিনির্গত হইতে বাসন বরেন । তাঙ্গাদেব বিচাবে মুক্তিই একমাত্র সাধ্য। ভুক্তিকে তাহারা বন্ধন মনে কবেন । র্তাহারা বলেন,—যাহাদের ভোগপ্রবৃত্তি ক্ষয় হয় নাই,তাহারা কৰ্ম্মকাণ্ডাশ্ৰয কবিঘা ভুক্তিসাধন ককন ; কিন্তু (গী ৯২১ ) "ক্ষীণে পুণ্যে মর্ত্যলোকং বিশন্তি’ (২) এই শ্লোক হইতে নিশ্চয় জানা যায় যে, ভূক্তি কখন ও নিত্য নয় অর্থাং ক্ষয়িষ্ণু ; যাহা অবশু ক্ষ্য হইবে, তাহা প্রাপঞ্চিক, অধ্যাত্মিক নহে; যাহা নিত্য, তাহাবষ্ট সাধন কর। কৰ্ত্তব্য। মুক্তি নিত্ত্য , অতএব তাহাই জীবেব সাধ্য ; তাহাব জন্য যে বৈরাগ্যাদি সাধনচতুষ্টয় নির্ণীত হইযাছে, তাছাই সাধন। জ্ঞানকাওঁীয় শাস্ত্রে এই প্রকার সাধ্য-সাধনের বিচাব দেখা যায় । জীব যেরূপ অধিকার লাভ করেন, কামধেনুরূপ শাস্ত্র সেই অধিকারের উপযোগী ব্যবস্থা দেখাইয়া দেন। মুক্তিলাভ করিয়া জীবের যদি সত্ত থাকে, তাহ হইলে মুক্তিই চরমসাধ্য হয় না। এই জন্য র্তাহারা নিৰ্ব্বাণ পৰ্য্যস্ত মুক্তির সীমাবৃদ্ধি করেন। বস্তুতঃ (১) স্বৰ্গভোগেব জন্ত অম্বমেধ যজ্ঞ করিবে। (২) স্বৰ্গভোগেৰ পর পুণ্যক্ষয় হইলে পুনৰায় মর্ত্যলোকে আগমন করে।