পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩০ জৈবধৰ্ম্ম [ ত্রয়োদশ তাহাতে প্রবিষ্ট । ভগবান এক অংশ চন্টলেও সৰ্ব্বত্র পূর্ণ, যথা বৃহদারণ্যকে ( ৫।১ )— পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে । পূর্ণন্ত পূর্ণমাদায পূর্ণমেবাবশিষ্যতে ॥ (১) অতএব পূর্ণস্বরূপ, জগৎপ্রবিষ্ট, জগৎপাত বিষ্ণুই পরমাত্মা ; কাবণেদক, ক্ষীরোদক ও গর্ভোদকশায়িরপে তিনি ত্রিরূপধুক্‌। চিজ্জগৎ ও মায়িক জগতের মধ্যবৰ্ত্তী কারণ-সমুদ্র বা বিরজা ; তাছাতে স্থিত হইয। ভগবদংশ কারণান্ধিশার্য মহাবিষ্ণু হইয়াছেন। তিনি দূর হইতে মায়াকে দৃষ্টি করিয়া মায়াদ্বারা স্বষ্টি করাষ্টয়াছেন, যথা গীতাব।ক্য (৯১০)— ময়াইধ্যক্ষেণ প্রকৃতিঃ স্থয়তে সচরাচরং । (২) বেদবাক্য—“দ ঐক্ষত” (ঐত ১১) (৩) “দ ইমান লোকান অস্থজত” ( ঐত ১৷১২ ) (৪) ইত্যাদি । মায়াপ্রবিষ্ট ঈক্ষণশক্তিই গর্ভোদশায়ী বিষ্ণু। সেই মহাবিষ্ণুব চিদীক্ষণগত কিরণপরমাণুসমূহই বদ্ধজীবনিচয় । প্রত্যেক জীবের হৃদয়গত অঙ্গুষ্ঠ (১) ঐ পূর্ণ অবতার ও এই পূর্ণ অবতার—উভয়ই পূর্ণ অর্থাৎ সৰ্ব্বশক্তিসমন্বিত। পূর্ণ অবতার হইতে পূর্ণ অবতার লীলা-বিস্তারার্থ প্রাদুভূত হয়েন। লীলাপূৰ্ত্তির জষ্ঠ পূর্ণ অবতারের পূর্ণস্বরূপকে আপনাতে গ্রহণপূর্বক পূর্ণ-অবতার অবশেষরূপে বৰ্ত্তমান থাকেন ; কোনরূপেই পরমেশ্বরের পূর্ণত্বের হানি হয় না। (২) প্রকৃতিই আমার শক্তি। আমার আশ্রয়েই আমার শক্তি কাৰ্য্য করে। আমার চিদ্বিলাসসম্বন্ধীয় ইচ্ছা হইতে যে প্রকৃতিকে কটাক্ষ করি, তাহাতেই সৰ্ব্বকার্য্যে আমার অধ্যক্ষতা আছে। সেই কটাক্ষ-চালিত হইয়া, এই চরাচর জগৎ প্রকৃতিই প্রসব করেন । (৩) সেই পুরুষ ঈক্ষণ করিয়াছিলেন । (৪) সেই পরমাত্মা এইরূপ আলোচনা বা ঈক্ষণ করিয়৷ এই লোকসমূহ মহাদিক্ৰমে স্বষ্টি করিয়াছিলেন।