পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 জৈবধৰ্ম্ম । [ প্রথম ষে, সেই বৈষ্ণবদর্শনে ও তাহার মুখে নামশ্রবণে আমার যে বিমলানন্দ হইয়াছিল তাহ। আমি তৎপূৰ্ব্বে আর কখনই বোধ করিতে পারি নাই । মানবসত্তায় যে এরূপ সুখ আছে, তাহী কখনই জানিতাম না। আমি কয়েকদিন বিচার করিয়া স্থির করিলাম যে, আমার বৈষ্ণব-চরণাশ্রয় করাই শ্ৰেয়: । আমি বারাণসী পরিত্যাগ করিয়৷ শ্ৰীধাম বৃন্দাবনে গেলাম । তথায় অনেক বৈষ্ণব দেখিলাম। র্তাহারা শ্রীরূপ, সনাতন, জীব গোস্বমীর নাম করিয়া অনেক বিলাপ করেন । র্তাহারা শ্ৰীশ্রীরাধাকৃষ্ণের লীলা স্মরণ করেন, আবার শ্ৰীনবদ্বীপ নাম করিয়৷ প্রেমে গড়াগড়ি দেন । আমার শ্রীনবদ্বীপদর্শনে লালসা হইয়া উঠিল। শ্ৰীব্রজধামের চৌরাশি ক্রোশ ভ্রমণ করতঃ অামি কয়েক দিবস হইল শ্রীমায়াপুরে আসিয়াছি । মায়াপুর নগরে আপনার মহিমা শ্রবণ করিয়া অদ্য আপনার চরণাশ্রয় করিলাম। আপনি এ দাসকে নিজ কৃপাপাত্র করিয়া চরিতার্থ করুন।” পরমহংস বাবাজী মহাশয় দস্তে তৃণ ধরিয়৷ ক্ৰন্দন করিতে করিতে বলিলেন, ‘সন্ন্যাসী ঠাকুর, আমি নিতান্ত অপদাৰ্থ । উদরপূৰ্ত্তি, নিদ্রা ও বৃথালাপে আমাব জীবন বৃথ। গেল । শ্রীকৃষ্ণচৈতন্তচন্দ্রের লালস্থান আশ্রয় করিয়া দিনপাত করিতেছি । কিন্তু কৃষ্ণপ্রেম যে কি বস্তু তাহা আস্বাদন দ্বারা বুঝিতে পারিলাম না। আপনি ধন্ত ! যেহেতু এক মুহূর্তের জন্তও বৈষ্ণবদর্শনে প্রেম আস্বাদন করিয়াছেন। আপনি কৃষ্ণচৈতন্তের কৃপাপাত্র । এই অধমকে প্রেম-আস্বাদনের সময় এক একবার স্মরণ করিলে আমি চরিতার্থ হইব । এই বলিতে বলিতে বাবাজী মহাশয় সন্ন্যাসী ঠাকুরকে দৃঢ় আলিঙ্গন দিবার সময় চক্ষের জলে র্তাহাকে স্বান করাইলেন। সন্ন্যাসী ঠাকুর বৈষ্ণব-অঙ্গ স্পর্শ করিয়! একটা অভূতপূৰ্ব্ব ভাব লাভ করিয়া ক্রনন করিতে করিতে নৃত্য করিতে লাগিলেন। নৃত্যকালে তিনি এই পদ্ধ গান করিতে লাগিলেন ।