পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যায় ] জীবের নিত্য ও নৈমিত্তিক ধৰ্ম্ম -(t ( জয় ) শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্য শ্ৰীপ্ৰভু নিত্যানন্দ । ( জয় ) প্রেমদাস গুরু জয় ভজন আনন্দ ॥ অনেকক্ষণ নৃত্য-কীৰ্ত্তনের পর স্থির হইয়া উভয়ে পরস্পর অনেক কথাবার্তা কহিলেন । প্রেমদাস বাবাজী মহাশয় বিনীতভাবে কহিলেন, ‘ঙ্গে মহাত্মন, আপনি এই প্রছন্নকুঞ্জে কিয়দিন বাস করিয়া আমাকে পবিত্র করুন।’ সন্ন্যাসী ঠাকুর কতিলেন, “আমি আপনার চরণে আমার দেহ সমর্পণ করিলাম। কিয়দিনের কথা কেন, আমার দেহত্যাগ পৰ্য্যস্ত আমি আপনার সেবা করিতে পাই, ইহাই আমার প্রার্থনা।’ সন্ন্যাসী ঠাকুর সৰ্ব্বশাস্ত্রজ্ঞ। গুরুকুলে কিছুদিন বাস করিয়া গুকপদেশ লষ্টতে হয়, তাত তিনি ভালরূপ জানেন । অতএব পরমানন্দে সেই কুঞ্জে কয়েকদিন অবস্থিতি করিলেন । পরমহংস বাবাজী কয়েকদিন পরে কহিলেন—তে মহাত্মন, ঐ প্রচ্যুম্ন ব্রহ্মচারী ঠাকুর কৃপা করিয়া আমাকে চরণে রাখিয়াছেন । তিনি আজকাল শ্রীনবদ্বীপ মণ্ডলেব একপ্রাস্তে শ্ৰীদেবপল্লীগ্রামে শ্ৰীশ্ৰীমৃসিংহ উপাসনায় মগ্ন। আজ চলুন মাধুকরী সমাপনপূৰ্ব্বক তাঙ্গর চরণ দর্শন করিয়া আসি। সন্ন্যাসী ঠাকুর কহিলেন, "যে আজ্ঞা হয় তাহাই পালন করিল।’ বেলা দু’টার পর তাহারা উভয়ে শ্ৰীঅলকানন্দ পার হইয়া শ্ৰীদেবপল্লীতে উপস্থিত হইলেন। স্বৰ্য্যটলা অতিক্রম করতঃ শ্ৰীমৃসিংহদেবের মন্দিরে ভগবৎপার্ষদ শ্ৰীপ্ৰদ্যুম্ন ব্রহ্মচারীর চরণ দর্শন পাইলেন। দূর হইতে পরমহংস বাবাজী মহাশয় দণ্ডবল্পিপতিত হইয়া শ্ৰীগুরুদেবকে সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করিলেন । ব্রহ্মচারী ঠাকুর ভক্তবাৎসল্যে আর্দ্র হইয়া শ্ৰীমন্দিরের বাহিরে আগমনপূৰ্ব্বক পরমহংস বালাজীকে উভয় হস্তের দ্বারা উত্তোলন করতঃ প্রেমালিঙ্গন করিয়া কুশলবার্তা জিজ্ঞাস করিলেন । অনেকক্ষণ ইষ্টগোষ্ঠীর পর পরমহংস বাবাজী সন্ন্যাসী ঠাকুরের পরিচয় দিলেন । ব্রহ্মচারী